অর্থপাচার মামলা : বরকত-রুবেলের আরেক সহযোগী কারাগারে

আগের সংবাদ

আরব্য রজনীর নতুন রূপকথা : সৌদি আরব ২ : আর্জেন্টিনা ১ > মেসিদের প্রত্যাশিত হারে স্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব

পরের সংবাদ

গাফিলতি স্পষ্ট, দায় কার? : নিরাপত্তায় ঢিলেমি > মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের আদালতে না নেয়ার সিদ্ধান্ত উপেক্ষিত > ডাণ্ডাবেড়ি পরানো হয়নি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর ব্যস্ততম আদালতপাড়া থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় কূলকিনারা হয়নি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় কার গাফিলতি ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশের পৃথক দুটি কমিটি। কাশিমপুর কারাগার-২ কর্তৃপক্ষ ও প্রসিকিউশন বিভাগের দায়সারাগোছের তৎপরতার সুযোগে পরিকল্পনা ও রেকি করে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে- এ বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হলেও এর দায় কার- সে প্রশ্নের সদুত্তর মিলছে না। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে, দায় শুধু কি তাদেরই- তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান মো. আসাদুজ্জামান গতকাল সোমবার দুপুরে কাশিমপুর কারাগারে যান। সেখানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে গাফিলতির দায় কার ছিল- এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজেছেন। জঙ্গি ছিনতাইয়ের নেতৃত্বদানকারী ও সহযোগীদের নাম পেয়েছেন তিনি। জঙ্গিরা কোন পথে কীভাবে সটকে পড়েছে এ প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট জবাব না মিললেও রায়সাহেব বাজার থেকে যাত্রাবাড়ী রুট ধরে তারা আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছেছে- এমন ধারণা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা। ছিনতাইয়ের ঘটনা জানাজানি, রেড এলার্ট জারি ও চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরুতে যে সময় পেরিয়ে গেছে, তার মধ্যেই জঙ্গিরা সটকে পড়েছে বলে ধারণা করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেছেন, আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডের আসামি দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় কোথাও গাফিলতি রয়েছে। পরিকল্পনা করে, রেকি করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করা হবে। তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জঙ্গিরা টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক ভোরের কাগজকে বলেন, জঙ্গি ছিনতাইয়ের দায় কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এড়াতে পারে না। নিরাপত্তার ঘাটতি কোথায় কোথায় ছিল তা বের করে কার গাফিলতি ছিল তাও খুঁজে বের করতে হবে। গাফিলতি দূর করে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া গেলে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এতে নাগরিক, সমাজ ও রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়বে।
সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ছিনতাই পরিকল্পনায় কারা ছিল, অপারেশন কীভাবে হয়েছে তাও জানা গেছে। চারজনকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাদের আরো বড় পরিকল্পনা থাকলেও থাকতে পারত বলে জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গি ছিনতাইয়ের পর রেড এলার্ট জারি করা হয়নি। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গতকাল দুপুরে বলেন, জঙ্গি সংগঠন আনসার

আল ইসলামের প্রধান মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হকের পরিকল্পনায় ১৮ সহযোগী মিলে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিসহ তাদের সহযোগীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া জঙ্গিদের আনা-নেয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই মহানগর পুলিশের ডিবি, সিটিটিসি ও থানা পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা শহরের সব পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেছি।
মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার জসীম উদ্দীন জানান, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ এসআই নাহিদুর রহমান, আসামিদের আদালতে নেয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার।
রাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির আগের অপরাধের ধরন, তাদের আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন সময়ে চলাফেরা- সবকিছু পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব এবং তাদের সহযোগীদের ধরতে র?্যাবের সব ইউনিট কাজ করছে। আদালত প্রাঙ্গণ, অন্যান্য জায়গা, সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করেছে তারা। পাশাপাশি গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে।
সূত্র মতে, পলাতক জঙ্গিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবকটি ইউনিট মাঠে নেমেছে। রিমান্ডে ১০ জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিটিটিসি। তাদের কাছ থেকে কারা এই ছিনতাইয়ে জড়িত, কবে কোথায় পরিকল্পনা হয়েছে এবং পালিয়ে কোথায় যাবে- এসব প্রশ্নের জবাব খোঁজা হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করতে চলছে গোয়েন্দা কার্যক্রম। তবে, এখনো কোনো সন্তোষজনক খবর নেই বলে জানা গেছে।
এদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন ডিআইজিকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। কমিটির প্রধান পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অডিট) মো. আমিনুল ইসলাম। সদস্য সচিব অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম মেট্রো) মো. হাসানুজ্জামান। সদস্যরা হলেন- সিটিটিসির ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মেট্রো সাউথ) মো. আনিচুর রহমান। এর আগে রবিবার ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে সভাপতি করে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নিতে দুটি মোটরসাইকেলে এসেছিল সহযোগীরা। তাড়াহুড়ো করে পালানোর সময় একটি মোটরসাইকেল ফেলেই চলে যায় জঙ্গিরা। সেই মোটরসাইকেলটি কোতোয়ালি থানায় রয়েছে। বিআরটিএ সূত্র বলেছে, ঢাকা মেট্রো-ল-৩১-৫৭১০ নম্বরের ওই মোটরসাইকেলটি ১৬০ সিসির হোন্ডা ব্র্যান্ডের হরনেট মডেলের। মোটরসাইকেলটির নিবন্ধন হাসান আল মামুন নামে এক যুবকের নামে। তিনি পুরান ঢাকার বাসিন্দা। মোটরসাইকেলটির রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি। গাড়িটির ইঞ্জিন নম্বর কঈ৩৯ঊঅ০০০**** এবং চেসিস নম্বর চঝ০কঈ৩৯৯০কঐ****। রেজিস্ট্রেশন আইডি ৬২-৩৮৪৪৫৯১। এটির প্রথম মালিক তিনি। গত রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের মালিক হাসান আল মামুনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া জঙ্গিদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা, কেন তার মোটরসাইকেলকেই ছিনতাই অপারেশনের জন্য বেছে নেয়া হলো, এসব বিষয়েও তথ্য নেই কারো কাছে। মোটরসাইকেলটি মালিক সরাসরি সরবরাহ করেছেন নাকি চুরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গতকাল সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়। জনসন রোডে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্ট ও মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে কড়াকড়ির চিত্র দেখা যায়। অন্যান্য দিনের তুলনায় সোমবার কোর্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কোর্ট প্রাঙ্গণে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ। এছাড়া আনসার, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের সাদা পোশাকে আদালত প্রাঙ্গণে নজরদারি করতে দেখা গেছে। প্রতিটি আদালতের প্রবেশমুখে সাধারণ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ সদস্যরা। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কাউকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে, জনসন রোডের বাসিন্দাদের মতে, আদালতপাড়া বরাবরই অরক্ষিত। এখানে ভরদুপুরে খুন হয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরগি মিলন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে ঢাকার কোর্টহাজত থেকে পিস্তলের গুলি ছ্ড়ুতে ছুড়তে পালিয়ে যায় গামা, মকুট, কিবলু ও হোসেন নামে ৪ আসামি। পিস্তলটি বিরিয়ানির প্যাকেটে ভরে হাজতে নেয়া হয়েছিল। আশির দশকে আদালতপাড়া থেকে গুলি ছুড়ে ও বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় দুর্ধর্ষ ডাকাত মকিম গাজি। প্রতিদিন ঢাকা ও কাশিমপুর কারাগার থেকে কয়েকশ আসামি এই আদালতে আনা-নেয়া করা হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বরাবরই ঢিলেঢালা।
কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি (হেডকোয়ার্টার্স) তৌহিদুল ইসলাম ডাণ্ডাবেড়ি না পরানো এবং গাফিলতি নিয়ে কথা না বলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো রবিবারের পরিসংখ্যানে জানিয়েছেন, কারাগারের মোট ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৬২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ৬৯৭ জন ও মহিলা ১ হাজার ৯২৯ জন। মোট আটক বন্দি : ৮৪ হাজার ১১৫ জন। এতে পুরুষ ৮০ হাজার ৭৭৬ জন ও মহিলা ৩ হাজার ৩৩৯ জন। মোট হাজতি ৬ হাজার ৪১১৭ জন, যাতে পুরুষ ৬১ হাজার ৬০০ জন ও মহিলা ২ হাজার ৫১৭ জন, মোট কয়েদি ১৯ হাজার ৯৯৮ জন। এতে পুরুষ ১৯ হাজার ১৭৬ জন ও মহিলা ৮২২ জন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি ২ হাজার ১৮৪ জন (পুরুষ ২ হাজার ১২১ জন ও মহিলা ৬৩ জন), বিদেশি বন্দি ৪৭২ জন (হাজতি ২৭৮ জন, কয়েদি ৫৫ জন ও আরপি ১৩৯ জন), মায়ের সঙ্গে শিশু ৩৪১ জন (ছেলে ১৫৭ ও মেয়ে ১৮৪ জন), বন্দি সাবেক বিডিআর সদস্য ৭৭৪ জন, যুদ্ধাপরাধী ১২৫ জন (হাজতি ৮৬ জন ও কয়েদি ১১ জন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৮ জন), জেএমবি ও অন্যান্য ৫৭৪ জন (জেএমবি ৪৩৩ ও অন্যান্য ১৪১), আগমন করে ১ হাজার ২৩৩ জন এবং জামিন বন্দি ৩০৪ জন।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় শাহিন আলম, শাহ আলম, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, খায়রুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ, আব্দুস সবুর ও রশিদুন্নবী নামে ১০ জন রিমান্ডে আছেন। এদের মধ্যে আরাফাত ও সবুরকেও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তবে জঙ্গিরা মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিতে পারলেও আরাফাত ও সবুরকে নিতে পারেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়