কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ডসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত ১৯ দিনে। নভেম্বরের ২০ তারিখ (সকাল ৮টা পর্যন্ত) পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। গতকাল রবিবারের আগ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল অক্টোবর মাসে। ওই মাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮৬ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ৬৪৬ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ৪ জনের।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ৫৫৯ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের। শুক্রবার রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫০ জন। আর মৃতের সংখ্যা ছিল ৩ জন। ডেঙ্গুতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ৩ নভেম্বর। মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দৈনিক সর্বোচ্চ রোগী ছিল ২ নভেম্বর। ওই দিন ১ হাজার ৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৬৪৬ জন রোগীর মধ্যে ৩২০ জন ঢাকার এবং ৩২৬ জন ঢাকার বাইরের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৭৮ জন। এর মধ্যে (ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে) ১ হাজার ৩৮৬ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ১ হাজার ৯২ জন ভর্তি আছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছর (১ জানুয়ারি থেকে ২০ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৮০৭ জন। এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩০ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০ হাজার ৯৯ জন। মাসভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন এবং জুন মাসে ৭৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। জুলাই মাসে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৭১ জন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ জন। আগস্টে রোগী ছিল ৩ হাজার ৫২১, ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে রোগী ছিল ৯ হাজার ৯১১ জন, মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। অক্টোবরে রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৯৩২ জন আর ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বরের ২০ তারিখ (সকাল ৮টা পর্যন্ত) রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের।