কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি মনে করালেন মোমেন

পরের সংবাদ

সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা : সড়ক নিরাপদ করতে শক্তিশালী আইন জরুরি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। এজন্য জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল রবিবার ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তারা এ তাগিদ দেন। রোড সেইফটি কোয়ালিশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করেছে। রোড ক্র্যাশে হতাহতদের স্মরণে প্রতি বছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়। সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল গণি মোল্লাহ্। প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ফটো ডিরেক্টর মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব এবং নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। বক্তব্য রাখেন গেøাবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউবেটরের ইন-কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। এর আগে নিটোরের সামনে থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। মঞ্জুলী কাজী বলেন, সড়ক আইন যথাযথভাবে কার্যকর করা গেলে সড়ককে নিরাপদ করা সম্ভব। কিন্তু আইনটি এখনো কার্যকর করা যাচ্ছে না। ‘কালো ফিতা’য় আইনটি আটকে আছে। কারণ এটা কার্যকর হলে একটি মহলের ক্ষতি হবে। নিখিল ভদ্র বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সারাজীবন এর বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়। কিন্তু যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, তাদের পরিস্থিতি আরো বেশি ভয়াবহ। আহতদের জন্য রাষ্ট্রের, সমাজের কিছু দায়িত্ব নেয়া প্রয়োজন।
অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) বলেন, সড়ককে নিরাপদ করতে হলে বিভিন্ন মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা দরকার। ঢাকার রাস্তায় শৃঙ্খলা আনাটা আগে জরুরি এবং এটার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল আমাদের রয়েছে। এভাবে একটা একটা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ড. শরিফুল আলম বলেন, সড়ককে নিরাপদ করতে হলে জাতিসংঘ প্রণীত গাইডলাইন বাস্তবায়ন করতে হবে। এগুলো হলো সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া, নিরাপদ যানবাহন নিশ্চিত করা, ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সড়কে দুর্ঘটনা পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া এবং চালকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি পর্যায়ে এই নীতিগুলোর বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করা জরুরি। অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে উদ্বেগজনক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৬ সালে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারায় ও পঙ্গুত্ববরণ করে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ। সড়কে মৃত্যুর এই মিছিল বন্ধ করতে হলে শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন জরুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়