কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি মনে করালেন মোমেন

পরের সংবাদ

রাজবাড়ী : ভাগ্নির প্রতারণায় নিঃস্ব মামা!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীতে ভাগ্নি হীরা সাহার প্রতারণায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন অমল কৃষ্ণ সাহা (৬৫)। অমল কৃষ্ণ সাহার অভিযোগ, রাজবাড়ী মাছ বাজার সংলগ্ন ১৩১ লিংক আয়তনের প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একটি দোকান ঘর তার আপন ভাগ্নি হীরা সাহা কৌশলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে তাকে পথে বসিয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি রাজবাড়ী সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত হীরা সাহা রাজবাড়ী শহরের ল²ীকোল গ্রামের সুব্রত সাহার স্ত্রী। অমল কৃষ্ণ সাহা একই গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি অসহায় হয়ে পথে পথে ঘুরছেন জমিটি ফিরে পাওয়ার আশায়। করছেন মানবেতর জীবনযাপন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হীরা সাহা জমিটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে নেয়ার পর দুই দফা হাতবদল হয়েছে। হীরা প্রথমে শিবু রায়কে দোকানটি ভাড়া দেন। এর কিছুদিন পর সেটি অসীম নামে একজনের কাছে বিক্রি করেন। অসীম আবার তা আক্কাছ ও শাজাহান নামে দুজনের কাছে বিক্রি করেন। ভুক্তভোগী অমল কৃষ্ণ সাহা জানান, রাজবাড়ী মাছ বাজার এলাকায় তার ১৩১ লিংক আয়তনের একটি ঘর রয়েছে। ঘরটি আফজাল নামে একজনকে ভাড়া দিয়েছিলেন। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালে আফজালকে ঘরটি ছেড়ে দিতে বলেন তিনি। এরপর আফজাল ঘরটি ছাড়তে নানা টালবাহানা শুরু করে।
অমল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘ওই সময় ভাগ্নি হীরা আমাকে বলে জমি নিয়ে মামলা হতে পারে। মামা এত ঝামেলা তুমি সহ্য করতে পারবে না। এ কারণে জমিটি আমাকে (হীরা) পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে দাও। আমি প্রথমে রাজি হইনি। ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি হীরা আমাকে রাজবাড়ী রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায় এবং স্বাক্ষর করতে বলে। কেন স্বাক্ষর করব জানতে চাইলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির কথা বলে সে। আমি স্বাক্ষর দিতে না চাইলেও জোর করে স্বাক্ষর নেয়া হয়।
তবে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বিষয়ে আমাকে পড়তে বা দেখতে দেয়া হয়নি। তাই পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে কী লেখা ছিল তা আমি জানি না। ওই সময় নানা খরচের কথা বলে আমার কাছ থেকে হীরা ৩৫ হাজার টাকাও নেয়। এর কিছুদিন পর হীরা আমাকে ফোন করে থানায় যেতে বলে। থানায় গেলে সেখানে উপস্থিত সবাই জমিটি হীরাকে লিখে দিতে বলে। আমি রাজি না হয়ে কোনো রকমে সেখান থেকে চলে আসি। পরে জানতে পারি হীরা জমিটি বিক্রির পাঁয়তারা করছে। তখন হীরাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ফিরিয়ে দিতে বলি। কিন্তু হীরা সেটি ফিরিয়ে দিতে নারাজ। তাই মামলা করতে বাধ্য হই।’
এ ব্যাপারে হীরা সাহা জানান, টাকা দিয়ে তিনি তার মামার কাছ থেকে জমি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে নিয়েছেন। এখন জমি নিয়ে তার মামা মামলা করেছেন। সেটি চলমান রয়েছে। জমি বাবদ মামাকে কত টাকা দিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, এটা কি দরকার? যেহেতু উনি মামলা করেছেন, কোর্টের মাধ্যমেই এর সমাধান হোক। এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়