কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি মনে করালেন মোমেন

পরের সংবাদ

পলাশে জাল দলিলে জমি আত্মসাতের চেষ্টা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই দুই ব্যক্তি হলেন- উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কুড়াইতলী গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র রায়ের ছেলে স্বপন রায় ও মৃত রতন রায়ের ছেলে শ্রাবণ।
অভিযোগ রয়েছে, অর্থের বিনিময়ে ভুয়া ও জাল কাগজপত্র তৈরি করেছেন তারা। এর প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের কাটাবের গ্রামের পাঁচজন ভুক্তভোগী। অভিযোগের অনুলিপি, জিনারদী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বরাবরে জমা দেয়া হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর ওই অভিযোগ করা হয়।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার টেঙ্গরপাড়া মৌজার আর.এস ২৭৭নং খতিয়ানের আর.এস ১৩২০ দাগের জমি অভিযুক্তদের নামে নামজারি ও জমাভাগ করার জন্য জাল দলিল ও জাল বি.আর.এস পর্চা সংযুক্ত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে একটি আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়। ওই আবেদনে অভিযুক্তদের একাধিক স্বাক্ষরসহ এনআইডির ফটোকপি, ছবি জমা দেয়া হয়। ওই আবেদন নং ৬৪৪/২২-২৩। ওই আবেদনে তারা, ২২/০৩/১৯৭২ তারিখের সাব- রেজিস্ট্রার অফিস নরসিংদী দেখিয়ে দলিল নং- ৯৩১৩ জমা দেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা এ খবর জানতে পেয়ে ওই দলিলের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নরসিংদী জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে যান। কিন্তু জেলা রেজিস্ট্রার অফিস ওই দলিলের বিষয়ে একটি লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
যাতে স্পষ্ট দেখা যায়, ওই দলিলের দাতা ও গ্রহীতার সঙ্গে নামজারিতে আবেদন করা দলিলের দাতা- গ্রহীতার কোনো মিল নাই। যা সম্পূর্ণ ভুয়া ও জাল। এছাড়া উক্ত দাগে ভোক্তভোগীদের নামে রেকর্ড হওয়া একই বি.আর.এস পর্চা অভিযুক্তদের নামে জাল বানানো হয়েছে। ওই নামজারিতে আবেদনকারী ব্যক্তিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, শুধু তাই নয় ওই দাগে তাদের করা নরসিংদী বিজ্ঞ ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ১১৬/১০ দেওয়ানী বিচারাধীন মামলায় হয়রানির উদ্দেশে অভিযুক্তরা দখলবিহীন অন্য আরেকটি দলিলের বৈধতা চেয়ে গত ২৬-০৫-২০২২ তারিখে বিবাদীতে শ্রেণিভুক্ত হয়ে পক্ষভুক্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। ওই দাগে ওই এজাহারের দলিলের বিবরণের সঙ্গে নামজারির আবেদন করা দলিলের বিবরণের কোনো মিল নেই। দুই স্থানে দুই রকম বিবরণ দিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন অভিযুক্তরা। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভোক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের নামজারিতে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। নাম্বারটি ব্যস্ত দেখায়।
পলাশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিলভিয়া সিন্ধা জানান, এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়