কাগজ প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের শটগানের গুলিতে নিহত ইউনিয়ন ছাত্রদল সহসভাপতি নয়ন মিয়ার (২২) মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে মর্গ থেকে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহটি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. তৌহিদা বেগম। এর আগে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন শাহবাগ থানার এসআই শহিদুল ইসলাম। সুরতহালে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার বিকাল ৪টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মোল্লাবাড়ির সেতুর উত্তর পাশে পাকা রাস্তার ওপর থেকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নয়নকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের দুই হাতের কনুইতে ছিল জখম, পেটের বাম পাশে গভীর রক্তাক্ত গোলাকার জখম রয়েছে, যেখান থেকে নাড়ি বের হয়ে গেছে।
মর্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের জানান, নিহত নয়নের মৃতদেহের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম নামাজের জানাজা হবে। এরপর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। মৃত নয়নের মামা বেদন মিয়া জানান, নয়নের বাবা রহমতুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে নয়ন ছিল দ্বিতীয়। বড় বোন সুমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। নয়নের টাকাতেই সংসার চলত। সে কেরানীগঞ্জে কাপড়ের দোকানে কাজ করত। গত বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল নয়ন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।