অমিত শাহের আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজল কাতারে

পরের সংবাদ

সরকারি হাসপাতালে খাবারের মান বাড়ানো জরুরি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সরকারি হাসপাতালগুলোর সার্বিক চিত্র স্বস্তিদায়ক নয়। করোনাকালে এ চিত্র ভয়াবহভাবে দেখা গেছে। হাসপাতালের ওষুধ বাইরে বিক্রি ও খাবারের মান নিয়ে বারবার খবরের শিরোনাম হচ্ছে। খাওয়ার মান তথৈবচ। বেশিরভাগ রোগী এসব খাবার খায় না। রোগীর খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নানা উপায়ে বিভিন্ন স্তরে কারচুপি হয়ে থাকে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে শুরু করে কয়েক পর্যায়ে নানাভাবে এ লুটপাটের কাজ চলে। রোগীর তালিকা বাড়িয়ে দেখানো হয়। নিম্নমানের খাবার উপকরণ ক্রয় করা হয়। রোগীদের খাবারের দিকে বিশেষ নজর দেয়া জরুরি। জানা গেছে, গত এক দশকে দেশে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে, কিন্তু বাড়েনি রোগীপ্রতি সরকারি বরাদ্দ। ২০১৩ সালে একজন রোগীর খাবারের জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হতো, ২০২২ সালে এসেও তা বাড়েনি। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই কমেছে খাবারের মান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো খাদ্য। তবে সবার দেহে খাদ্যের চাহিদা সমান নয়। মানুষের দেহের গঠন, ওজন, বয়স, পেশা ও লিঙ্গভেদে খাদ্য চাহিদার ভিন্নতা দেখা যায়। চিকিৎসক রোগীদের জন্য আমিষ, প্রোটিন, ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার যে পরিমাণ ও মাত্রায় চিকিৎসকরা সুপারিশ করেন এর সামান্যও দেশের অধিকাংশ হাসপাতালের রোগীরা পাচ্ছেন না। খাবারের মান বাড়াতে বিশেষজ্ঞরা বাজেট বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে আসছিলেন। দেখা যাচ্ছে, সরকার প্রতি রোগীর জন্য অর্থ ও একটি সাধারণ মান নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে রোগীর খাবার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দরপত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিদিনের খাবার সংগ্রহ করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ২০১৩ সাল থেকে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের সাধারণ স্কেলের ডায়েটের দৈনিক বরাদ্দ ১২৫ টাকা। এর মধ্যে সকালের নাশতার জন্য বরাদ্দ ৩৩ টাকা, দুপুর ও রাতের খাবারে ৯২ টাকা। তবে পুরো ১২৫ টাকাই রোগীর জন্য ব্যয় হয় না। সেখান থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ১০৬ টাকায় দেয়া হয় রোগীর তিনবেলার খাবার। রোগীদের সকালের খাবারে দেয়ার কথা ১৫০ গ্রাম পাউরুটি, চার ইঞ্চির একটি কলা, ২০ গ্রাম চিনি ও একটি ডিম। কলা না পেলে সেক্ষেত্রে অন্য কোনো ফল ও জেলি দেয়ার কথা। দুপুর ও রাতের খাবারে প্রতি বেলায় মাছ বা মাংস দেয়ার কথা রয়েছে। তবে এক কেজির রুই বা কাতল মাছ থেকে পিসের আকার হতে হবে ১৪০ গ্রামের। ৩৪০ গ্রাম মুরগির মাংস, ৩৪০ গ্রাম চাল। এছাড়া মসুর ডাল ও সবজি দেয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণে। কোনো হাসপাতালে সরকার নির্দেশিত পরিমাণ খাবার দেয়া হয় না বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া জরুরি। হাসপাতালগুলোতে স্বচ্ছতার মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করে যোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই রোগীদের খাবার সংগ্রহ করা হোক এবং তা মনিটরিং করা হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়