কাগজ প্রতিবেদক : বিআরটিসি লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হয়ে এসেছে। সরকারের এই সংস্থাটি শিগগিরই দূরপাল্লার রুটে পর্যটক বাস চালু করবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে বিআরটিসি প্রধান কার্যালয়ে ‘বদলে যাচ্ছে বিআরটিসি’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এ কথা বলেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ। বিআরটিসির উন্নয়নের তথ্যচিত্র তুলে ধরেন জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব) মো. আমজাদ হোসেন। রাখেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ড্রাইভার্স টেকনিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর নবী শিমু, ঢাকা জেলা নারী চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খাদিজা রহমান প্রমুখ। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, সরকারের একমাত্র পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হয়ে এসেছে। বিআরটিসি শিগগিরই দূরপাল্লার রুটে পর্যটক বাস চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়া বিআরটিসি বাসে অনিয়ম দূর করার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ নেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য সব বিআরটিসি বাসে বিশেষ অভিযোগ বাক্স রাখা হবে।
তিনি বলেন, বিআরটিসির সামনে আরো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া, দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা এবং যাত্রী সেবার মান বাড়ানো অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এসব ক্ষেত্রেও বিআরটিসিকে উন্নতি করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাসচালকদের জন্য ডিউটির সময়সীমা দৈনিক ৮ ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে স¤প্রতি ১০০ জন চালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে ট্রাক চালকদের ক্ষেত্রে এখনো দৈনিক ৮ ঘণ্টার সময়সীমা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। নতুন চালক নিয়োগ দিয়ে এই বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিআরটিসিকে একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।