অমিত শাহের আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজল কাতারে

পরের সংবাদ

প্লাটফর্মগুলো গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মিথ্যা তথ্যের অন্যতম কেন্দ্র। সেসঙ্গে বিভিন্ন বিতর্কিত পদ্ধতি ও ফ্যাক্ট চেকিংয়ের কারণে প্লাটফর্মগুলো গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে, যার অন্যতম উদাহরণ টুইটার। তবে এত কিছুর মাঝেও বর্তমান সময়ের কিশোররা
তাদের ব্যক্তিগত
জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর প্রভাব নিয়ে তেমন চিন্তিত নয়। জরিপে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কিশোর জানায়, কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম বা সামাজিক ঘটনাকে বাহবা দেয়ার জন্য
তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এর থেকেও কম মাত্র ৭ শতাংশ কিশোর একই কারণে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট দেয়-
সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টার প্রকাশিত নতুন এক জরিপ সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে। ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১ হাজার ৩১৬ জন কিশোরকে নিয়ে এ জরিপ পরিচালনা করে। এটি অনেকটা ২০১৮ সালে পরিচালিত জরিপের মতোই। জরিপে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমবিহীন যুগে বেড়ে ওঠা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কিশোররা কম প্রভাবিত। জরিপে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ কিশোর জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা যেসব জিনিস দেখে সেগুলো তাদের বন্ধুদের জীবনের সঙ্গে আরো সম্পৃক্ত করে।
অন্যদিকে ৭১ শতাংশ জানায়, প্লাটফর্মগুলো তাদের সৃজনশীলতা প্রদর্শনের অন্যতম ক্ষেত্র। ৬৭ শতাংশ কিশোর জানায়, কঠিন সময়ে যারা পাশে থাকে তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ দেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অন্যদিকে ৫৮ শতাংশ জানায়, প্লাটফর্মগুলো তাদের আরো আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। জরিপে অংশ নেয়া অধিকাংশ কিশোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে নিরপেক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে, যেখানে ৫৯ শতাংশ কিশোর জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকে তাদের জীবনে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনো ধরনের প্রভাবই পড়ে না। তবে জরিপে কিশোরদের কিছু অংশ উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। ৩৮ শতাংশ জানায়, প্লাটফর্মগুলোয় প্রতিদিন যে পরিমাণ নাটকীয় ঘটনা ঘটে সেগুলো তাদের অভিভূত করে।
এক-তৃতীয়াংশ কিশোর জানায়, তাদের বন্ধুরা অনেক কিছু থেকে তাদের পেছনে ফেলে দিচ্ছে। ২৯ শতাংশ কিশোর জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছু পোস্ট করার পর লাইক ও কমেন্টের জন্য তারা চাপ অনুভব করে। অন্যদিকে ২৩ শতাংশ জানায়, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, টেলিগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাদের জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে। ২০২১ সালে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মেটার পণ্য যে কিশোরীদের মনে নিজ সম্পর্কে নেতিবাচকতা তৈরি করত সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানত। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ব্যক্তি নিরাপত্তা বা গোপনীয়তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়