অমিত শাহের আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজল কাতারে

পরের সংবাদ

নবাবগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ইটভাটা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অলিউর রহমান মেরাজ, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা। তবে কৃষি অধিদপ্তরের প্রত্যয়ন ছাড়াই নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ইটভাটা। জ্বালানি হিসেবে কয়লা পোড়ানোর কথা থাকলেও প্রকাশ্যে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করছে ভাটার মালিকরা।
কৃষকরা জানান, কৃষি জমিতে একের পর এক ইটভাটা তৈরি হচ্ছে। এতে দিন দিন কমে যাচ্ছে কৃষি জমি।
নবাবগঞ্জ উপজেলার ২ নং বিনোদনগর ইউনিয়নসহ কয়েক গ্রামের শতাধিক কৃষক জানান, কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করার সময় স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয় তারা। এরপরও ইটাভাটা নির্মাণ বন্ধ হয়নি। উল্টো তড়িঘড়ি করে দ্রুত ইটভাটার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় ফলবাগান মালিক মো. রমেন সরকার বলেন, প্রতি বছর তার বাগানে হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালিসহ উন্নত প্রজাতির আম, লিচুর বাম্পার ফলন হয়। কিন্তু তার বাগানের পাশেই ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। এখন ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এলাকার কৃষকদের দাবি, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ না হলে জমির ফসল ও ফলের বাগান ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রশাসনের এখনি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। কিন্তু অজানা কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে তিন বছর আগে উপজেলার বৈধ ইটভাটা মালিকরা দিনাজপুর জেলা প্রশাসক বরাবর অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আবেদন করেছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।
নবাবগঞ্জ প্রযুক্তিভিত্তিক ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান জানান, অবৈধ ইটভাটাগুলো সরকারকে ফাঁকি দিয়ে ইট প্রস্তুত করে ব্যবসা করছে। কয়লার দাম বেড়ে গেছে। তাই কয়লার বদলে তারা কাঠ পোড়াচ্ছে। এতে গাছের সংখ্যা কমে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম আশিক রেজা জানান, গত বছর অবৈধভাবে নির্মিত কয়েকটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়