অমিত শাহের আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজল কাতারে

পরের সংবাদ

নন্দীগ্রামে স্কুলের জমি দখল করে উল্টো মামলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার গছাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দুই বিঘা জমি অবৈধ দখলকারীকে দুদফায় নোটিস করার পরও সম্পত্তি হস্তান্তর করেননি। উল্টো আদালতে মামলা দায়ের করেছেন দখলকারী ভাটগ্রাম ইউনিয়নের গছাইল গ্রামের মোজাহার আলী আকন্দ। তার পাঁচ ছেলে, পুত্রবধূ ও এক নাতিসহ আটজনই মামলার বাদী।
বিবাদীরা হলেন- বগুড়া জেলা প্রশাসক, শিক্ষা বিভাগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), বগুড়া সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি), নন্দীগ্রাম সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভাটগ্রাম উপসহকারী কর্মকর্তা (ভূমি), জামাদারপুকুর উপসহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) এবং গছাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি।
মিথ্যা মামলার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের দুই বিঘা জমি জবরদখল ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে গতকাল শনিবার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রুমানা খাতুনের পক্ষে তার স্বামী গছাইল গ্রামের মিজানুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সহসভাপতি বদরুল মনির, সাবেক অভিভাবক সদস্য জুয়েল হোসেনসহ গণ্যমান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পালাহার মৌজার ৩নং খতিয়ানের ৬০৫ দাগের ৩৪ শতাংশ ধানী এবং গছাইল মৌজার ২নং খতিয়ানের ২১২৩ দাগের ৩০ শতাংশ ধানী জমি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি। ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের যোগসাজশে দাতা সদস্য মোজাহার আলী আকন্দ বিদ্যালয়ের ৬৪ শতাংশ সম্পত্তি মৌখিকভাবে দেখভাল করছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই সম্পত্তি বিদ্যালয়ে বুঝিয়ে দিতে মৌখিকভাবে বলা হলেও দখল ছাড়েননি তিনি। সম্পত্তি বিদ্যালয়ে হস্তান্তর করার জন্য মোজাহারকে চলতি বছরের ১৫ মার্চ নোটিস করে ব্যবস্থাপনা কমিটি। নোটিসের ৪৫ দিন পর ১৯ এপ্রিল এক মাসের সময় চান দখলকারী। লিখিত আবেদনে মোজাহার বলেন, লোনসংক্রান্ত বিষয়ে তার জমির দলিল ব্যাংকে জমা দেয়া আছে। সে মোতাবেক এক মাস সময় দেয় ব্যবস্থাপনা কমিটি। তবুও কথা রাখেননি মোজাহার। যে কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়ে ২৯ মে মোজাহারকে চূড়ান্ত নোটিস দেয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নোটিস করায় সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে বগুড়ার ১ম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা (৪৭৩/২২) দায়ের করেছে অবৈধ দখলকারী। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়