রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বাণী : ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তন আজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ও জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনবদ্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দেয়া পৃথক পৃথক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নবীন গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ১৯২১ সালে মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রতিশ্রæতি নিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল, নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজো সেই মূলধারা বিকাশমান রয়েছে। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-শিক্ষক নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি সেসব বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। এবারের সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে যারা নতুন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আশা করি, তোমরা দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতা দিয়ে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবে। নবীন গ্র্যাজুয়েটদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের সফলতা কামনা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে এ উপমহাদেশে যে রাষ্ট্রব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না- এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং কালক্রমে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তার নেতৃত্বে পরিচালিত বহু আন্দোলনের সাক্ষী হয়ে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের বিগত প্রায় ১৪ বছরে গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে শিক্ষা খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আমরা বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
গৌরবদীপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের সার্বিক সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যে কোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আশা করি, জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করুক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়