রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার : জাল নথি দিয়ে ভিসার আবেদন করলে কালো তালিকাভুক্ত হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ভারতের ভিসা প্রাপ্তিতে মিথ্যা তথ্য ও জাল নথি না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। সেই সঙ্গে যারা দালাল ধরে, মিথ্যা তথ্য ও জাল নথি প্রদান করবেন তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটিইসি) দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর খুলশীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বলেন, ‘ঢাকায় আমাদের প্রধান মিশন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা ভিসা প্রদান করে থাকি। কিন্তু চট্টগ্রামে আমরা স¤প্রতি ভিসা প্রক্রিয়ায় কিছু অনিয়মের অভিযোগ পাচ্ছি। ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করার যে কেন্দ্রগুলো আছে সেগুলো স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ভিসাপ্রার্থীদের আবেদন সংগ্রহ এবং পাসপোর্ট সরবরাহের মধ্যেই তাদের কাজ সীমাবদ্ধ। কিন্তু ভিসার আবেদন, নথি যাচাই-বাছাই ও ভিসা প্রদানের প্রক্রিয়ায় তাদের কোনো ভূমিকা নেই। একমাত্র সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয় ভিসা প্রদানের ক্ষমতা রাখে’। তিনি বলেন, অপ্রতুল অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে চট্টগ্রামে ভিসাপ্রার্থীদের দুর্ভোগের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা চেষ্টা করছি ভিসা আবেদনকেন্দ্রকে আরো বড় পরিসরে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে এবং আরো জনবল নিয়োগ দেয়ার বিষয়টিও আমাদের পরিকল্পনায় আছে।
দালালদের মাধ্যমে ভিসার আবেদন পূরণের বিষয়েও উষ্মা প্রকাশ করে সহকারী হাইকমিশনার বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা ভিসাপ্রার্থীদের আবেদন ফরম পূরণের জন্য প্রচুর টাকা নেয় এবং জাল নথি যুক্ত করে দেয়। এক্ষেত্রে ভিসাপ্রার্থীদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। আমি ভিসাপ্রার্থীদের বলবো, জাল নথি শুধু আপনাকে আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, আপনাকে ভিসাও দেয়া হয় না। এছাড়া বারবার জাল নথি দিয়ে একই আবেদন করার কারণে আপনাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে। তিনি বলেন, যারা জাল নথি দিয়ে ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করেন এক বা একাধিকবার, আমরা তাদের নাম-ঠিকানাসহ সব তথ্য ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ভিসাকেন্দ্রের সামনে আমরা অভিযোগ-পরামর্শ বাক্স স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ের একটি ই-মেইল ঠিকানা দেয়া থাকবে, যেখানে আবেদনকারী তার অভিযোগের বিষয়ে জানাতে পারবেন। ভিসা প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করে ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘আপনার ভিসা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য কিংবা সহযোগিতার জন্য আমার কাছে আসুন। একটি সুন্দর, স্বচ্ছ ও শক্তিশালী ভিসা প্রক্রিয়া গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশিদের সর্বোত্তম সেবা দেয়ার জন্য আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। সবার সহযোগিতা ছাড়া আমরা কখনোই সফল হতে পারব না’।
অনুষ্ঠানে ভারতের ২৫টি আইটিইসি প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা সংর্বধনায় অংশ নেন এবং কয়েকজন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়