রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়ম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে : বোয়ালমারীতে উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকৌশলীর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিডিউলকে তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছে।
জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের নতুন প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণের জন্য প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজটি পায় ফরিদপুরের রাফিয়া কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। কাজ শুরুর পর ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী একটি মামলায় কারাগারে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর পুনরায় টেন্ডার হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জের খাজা বিল্কিস রাব্বি ২ কোটি ৯ লাখ টাকায় কাজটি পায়। সরজমিন পরিদর্শনকালে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, নির্মাণ কাজ চলাকালেই উপজেলা পরিষদের হলরুমের বিভিন্ন স্থানের দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। পরে পলেস্তরা করার সময় ফাটল ঢেকে দেয়া হয়। সিঁড়ির রেলিংয়ে এসএসের পরিবর্তে লোহা ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া টেন্ডারে এ গ্রেডের টাইলস ব্যবহার করার কথা উল্লেখ থাকলেও বিভিন্ন কক্ষের মেঝে ও ওয়াশরুমের দেয়ালে বি গ্রেডের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি ওয়াশরুমের বেসিন, কমোড, প্যান বি গ্রেডের দেয়া হয়েছে। সেগুন কাঠ দিয়ে চৌকাঠসহ দরজার পাল্লা দেয়ার কথা থাকলেও দরজার পাল্লায় মেহগনি কাঠ এবং চৌকাঠে কড়ই ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহৃত কাঠও নিম্নমানের। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। পরে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ফোন বন্ধ থাকায় আর কথা বলা সম্ভব হয়নি। ভবন নির্মাণসংক্রান্ত তথ্য জানতে সংশ্লিষ্ট উপসহকারী প্রকৌশলী লুৎফর রহমানের অফিসে গেলে তিনি কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ইতিপূর্বে একটা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে দেখেছি, শিডিউল মোতাবেক কাজ হয়েছে। অনিয়মের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিল্ডিংয়ে আমরাই অফিস করব। সেহেতু এখানে কাজে ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহিদুজ্জামান খান বলেন, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব ইউএনওর। তারপরও বিষয়টি তদারকি করার জন্য ইউএনওকে বলব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসাইন বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হতো। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়