রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

বেড়েছে সাবান ডিটারজেন্টের দাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাবান ও গুঁড়া সাবান বা ডিটারজেন্টের মূল্য। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে উৎপাদনকারী কোম্পানি ও সরবরাহকারীরা ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে দিচ্ছেন দাম। সরকারি কোনো বিধিনিষেধ ও তদারকির থোড়াই কেয়ার করছেন তারা। অনেকটা বাধ্য হয়েই ক্রেতারা এসব পণ্য ক্রয়ে বাধ্য হচ্ছেন। ক্রেতাদের পক্ষে এসব পণ্য না কিনে কোনো বিকল্প উপায়ও নেই।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর রায়েরবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে মানুষের ঘরদোর ও জামাকাপড় পরিষ্কার করার সবচেয়ে জরুরি উপাদান সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডারের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গত এক-দেড় মাসে প্যাকেটজাত এ পণ্যটির দাম ধাপে ধাপে বাড়িয়েছে কোম্পানি। সবচেয়ে বেশি দাম বাড়িয়েছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার। এই কোম্পানির সাবানসহ প্রতিটি পণ্য আস্তে আস্তে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে চাচ্ছে। পিছিয়ে নেই দেশি কোম্পানিগুলোও।
গত কয়েকদিনে ১ কেজি প্যাকেটের রিন গুঁড়া সাবান ১১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা। হুইলের গুঁড়া ১ কেজির প্যাকেট ছিল ৯০ টাকা, যা এখন কিনতে হয় ১৪০ টাকায়। এছাড়া ১ কেজি প্যাকেটের কেয়া ডিটারজেন্ট ১১০ টাকা, ঘড়ি ডিটারজেন্ট ১৩০, ইউনি ওয়াশ ১৪০ ও চাকা ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের দামের তুলনায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা করে বেশি। গোসলের সাবানের মধ্যে ১৫০ গ্রামের লাক্স সাবান ৪০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে। মেরিল ৪০ থেকে হয়েছে ৬০ টাকা। লাইফবয় ১০০ গ্রাম ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। একই অনুপাতে বেড়েছে কাপড় ধোয়ার সাবানও।
আজিজ স্টোরের দোকানি আবদুল আজিজ বলেন, গুঁড়া সাবান ও গোসলের সাবানের দাম বেড়েই চলছে। আজ একদামে বিক্রি করলে পরদিন আরেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যাদের টাকা আছে, তারা বেশি করে কিনে রাখছে সামনে আরো বাড়বে এই চিন্তা করে। আর যাদের টাকা কম, তারা এসে কম দামেরগুলো খোঁজে। ইউনিলিভার প্রোডাক্টের দামই সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। তাদের দেখাদেখি অন্যান্য কোম্পানিও দাম বাড়াচ্ছে।
দাম বাড়লেও ব্যবহার বন্ধ করার কোনো উপায় নেই জানিয়ে গৃহিণী নার্গিস মনি বলেন, আগে এক কেজি ডিটারজেন্টে যে পরিমাণ কাপড় কাচা যেত এখন তার চেয়ে কম হয়। কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যের মান খারাপ করেছে বলেও সন্দেহ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়