রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপে মাংসের চাহিদা : আজেন্টিনা-উরুগুয়ের অন্যরকম উদ্যোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যেই কাতারে আসতে শুরু করেছে দেশগুলো। তবে এর মধ্যেই ভিন্নরকম এক আয়োজন করতে চলেছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। দেশীয় খাবারের চাহিদা মেটাতে নিজেদের দেশ থেকে ৯০০ কেজি করে মোট ১৮০০ কেজি মাংস কাতারে এনেছে তারা।
সারা বিশ্বে গরুর মাংস উৎপাদন, রপ্তানি এবং ভোগে শীর্ষ দুই দেশ উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা। দেশ দুটির খাদ্যাভ্যাসেও গরুর মাংসের বিভিন্ন খাবারের উপস্থিতি থাকে সবচেয়ে বেশি। কাতারে লিওনেল মেসির দল উঠেছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে। নিজেদের মতো করে আর্জেন্টাইন সংস্কৃতির রান্নাবান্না ও খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতেই পাঁচতারকা হোটেলে অবস্থান নেননি তারা। আর্জেন্টিনায় মাংসের বারবিকিউ ও বিশেষভাবে তৈরি আসাদো নামের একটি খাবার ব্যাপক জনপ্রিয়। সাধারণত যে কোনো উৎসবে আসাদো খাদ্য তালিকায় প্রাধান্য পায়। বৃহস্পতিবার আমিরাতের বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয়ের পর আসাদো খেয়ে উদযাপন করেছে আর্জেন্টিনা দল। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও বিভিন্ন ধরনের কাজে নিযুক্তদের মিলিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলের মোট সদস্য ৭২ জন।
দলের এরকম আয়োজন নিয়ে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, আসাদোতে খাবারের চেয়েও বেশি খুঁজে পাই আমাদের সংস্কৃতিকে। এটি আমার প্রিয় খাবার। তবে এর থেকেও আমাদের বেশি নজর থাকবে বিশ্বকাপে। আমরা চাই দলের ভেতরকার রসায়নটি মজবুত এবং একতা বৃদ্ধি করতে।
আর্জেন্টিনার পার্শ্ববর্তী দেশ উরুগুয়ে অবশ্য উঠেছে কাতারের পার্ক হায়াত হোটেলে। রান্নার জন্য তারা নিয়োগ দিয়েছে একজন শেফ। এরই মধ্যে প্রথম আসাদো বানিয়ে খেয়েছে উরুগুয়ের জাতীয় দল। বারবিকিউয়ের দায়িত্বে ছিলেন দলের প্রধান শেফ আলডো কাউটেরুচ্চিও। উরুগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ইগনাসিও আলানসো বলেন, বিদেশে উরুগুয়ের ঐতিহাসিক প্রতিনিধি হচ্ছে ফুটবলদল। এক প্রতিনিধি কাতারে আরেকটি প্রতিনিধিকে নিয়ে গেছে, সেটা হচ্ছে উরুগুয়ের মাংস, যা বিশ্বসেরা। মাংস বড় বড় করে কেটে সসেজ ও গ্রিল করে রান্না করা হয়।
ল্যাটিন আমেরিকার আরেক দেশ ব্রাজিলও অংশ নিয়েছে কাতার বিশ্বকাপে। সেই দেশে মাংস খাওয়ার প্রচলন থাকলেও তারা নিয়ে গেছে ব্রাজিলের বিখ্যাত কফি। সঙ্গে নিয়েছে জনপ্রিয় খাবার সিজনিং এবং ৩৬ কেজি কাসাভা ময়দা। যা দিয়ে তৈরি করা হয় ফারোফা নামের একটি ডিশ।
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা রয়েছে সি গ্রুপে। গ্রুপে তাদের অন্য প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড, মেক্সিকো এবং সৌদি আরব। আগামী ২২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে লিওনেল মেসির দল।
এছাড়া ২৭ নভেম্বর রাত ১টায় মেক্সিকো এবং ১ ডিসেম্বর একই সময়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে কাতার বিশ্বকাপে উরুগুয়ে রয়েছে এইচ গ্রুপে। গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ঘানা। আগামী ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে উরুগুয়ে। আর ২৯ নভেম্বর রাত ১টায় পর্তুগাল ও ২ ডি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়