রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

বাজালিয়া-নতুনহাট-শীলঘাটা সড়ক : ছোট-বড় গর্তে মানুষের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সাতকানিয়ায় দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বাজালিয়া-নতুনহাট-শীলঘাটা সড়ক। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় পুকুরে পরিণত হয়েছে। কিছু জায়গায় সড়কের চিহ্ন মুছে গেছে। যেন কাদা পানি ভরা পুকুরের ভেতর দিয়ে গাড়ি চলছে। নয়াহাট বাজারের পূর্ব থেকে ফকিরখিল দোকানের সামনে ও কুমারপাড়া বাজার এলাকায় ১ কিলোমিটার সড়কে সবচেয়ে বেশি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উপজেলার সবচেয়ে সবজি উৎপাদন হয় পুরানগড় ইউনিয়নে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারজাত করার ক্ষেত্রে। সড়কের বেহাল দশার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে এখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজার ধরতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। এ ছাড়া সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনগুলো সৃষ্ট বড় বড় গর্তে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেহাল দশার এই সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও সংস্কার করার উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার ধোঁপাছড়ি ইউনিয়নের অধিকাংশ বাসিন্দা শঙ্খ নদী পার হয়ে শীলঘাটায় এসে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া শীলঘাটা ও বৈতরণীর সব মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ বাজালিয়া ও কেরানীহাটে যাতায়াত করে সড়কটি দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্থার না করায় কার্পেটিং-খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে সড়ক বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে বড় বড় গর্তে পানি জমে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাজালিয়া-শীলঘাটা পর্যন্ত গড়ে দুই থেকে তিন শতাধিক সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ মিনি ট্রাক ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রায় সময় একাধিক যানবাহন গর্তে পড়ে বিকল হচ্ছে।
নতুনহাট বাজারের মিষ্টির দোকানি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ফকিরখিল দোকানের সামনে ও কুমারপাড়া বাজার পর্যন্ত সড়কের খুব নাজুক অবস্থা। সড়কে পুকুর তৈরি হওয়ায় সিমেন্টের বস্তায় বালু ভরে সড়কে ফেলে যানবাহন চলাচল করছে। এতে মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে সড়ক। এ অঞ্চলের কোনো মানুষ অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ হোসেন বলেন, সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে পাথর ও পিচ উঠে কিছু জায়গায় ছোট ছোট পুকুর কিছু কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।
পুরানগড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আফম মাহবুবুল হক সিকদার বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ সরোয়ার হোসেন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। এই বছরের শেষ নাগাদ সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়। সড়কটির কাজ সমাপ্ত হলে জনদুর্ভোগ কেটে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়