রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

বাঘা পৌরসভা নির্বাচন : আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও জামায়াতের প্রচারণা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রজশাহী) থেকে : রাজশাহীর বাঘায় তফশিল ঘোষণার পর এলাকা ঘুরে ‘আশীর্বাদ র‌্যালি’ করেছেন বাঘা পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী আ.লীগের তিন মেয়র প্রার্থী। তারা হলেন- সাবেক মেয়র ও জেলা আ.লীগের সদস্য আক্কাছ আলী, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুন হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু। তাদের কর্মসূচিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রার্থীদের বিপুল পরিমাণ মোটরসাইকেলের র‌্যালি ‘ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতবাহী’ বলেই সাধারণ মানুষের দাবি। প্রার্থীদের দাবি, পালাবদলের ঢেউয়ে ভর করে এবার পৌর সভার মেয়র পদ দখল করবেন।
আক্কাছ আলীর দাবি, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রবণতা অতিক্রম করে এবার আবারো ক্ষমতায় ফিরবেন তিনি। এর আগে নির্বাচিত হয়ে পৌরসভার ভৌগলিক অবস্থার পরিবর্তনসহ এলাকার উন্নয়ন ও পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন বলে দাবি তার। এবার দলীয় মনোনয়ন পেলে ভোটাররা তাকে মূল্যায়ন করবে বলে আশা তার।
মামুন হোসেন বলেন, দলীয় পদে দায়িত্ব পালনকালে মানুষের পাশে রয়েছি। এবার মনোনয়ন পেলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে পৌরসভার উন্নয়নে ভূমিকা রাখব। শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, যুবলীগের নেতৃত্বের পাশাপাশি পৌরসভার প্যানেল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মানুষের পাশে থেকে পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করেছি। আগামীতেও পৌরসভার উন্নয়নে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। তাদের মতো মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, জেলা আ.লীগের ১ নম্বরসহ সভাপতি আমানুল হাসান দুদু, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ার ফাতেমা খাতুন লতা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন সুরুজ। এদের অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
বিএনপি ও জামায়াত শিবিরেও চলছে প্রচারণা। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ায় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা যোগাযোগ করছেন জেলা ও কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে। নির্বাচন ঘিরে চাঙা হচ্ছে আ.লীগ-বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতি।
গণসংযোগ করছেন, পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন ও যুবদলের সাবেক নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন। তারা জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই নির্বাচনে অংশ নেবেন। এবার প্রার্থী দিবে জামায়াত। পৌর জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম নিজেই প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন।
এবারো নির্বাচনে অংশ নেবেন বর্তমান মেয়র আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নসহ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন। এবারো মানুষ ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে আশা তার।
ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১ ডিসেম্বর, যাচাই-বাছাই ৩ ডিসেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১০ ডিসেম্বর। এবার ভোট হবে ইভিএমে। ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৩৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৮০০ জন ও নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮৩৬ জন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও পৌর নির্বাচনে সহকারী রির্টানিং অফিসার মুজিবুল আলম জানান, ভোটার হালনাগাদে সংখ্যা বাড়তে পারে।
এদিকে, ভোটাররা নীরব থাকলেও নিজেদের সমর্থন আদায়ে মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচনে আগ্রহীরা। ভোটারদের ভাষ্য, পৌরসভায় আধিপত্য বিস্তার না করে জনসেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেন, এমন প্রার্থী চান তারা।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলু জানান, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী দেয়ার সুযোগ নাই। দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রার্থী বাছাই করে মনোনয়ন দেয়া হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল জানান, পৌর আ.লীগের বর্ধিত সভায় প্রার্থীদের নাম নিয়ে জেলায় পাঠানো হবে। তাই কারো বিষয়ে কোনো মন্তব্য নাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়