রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

নন্দীগ্রামে নতুন চাল আর বড় মাছে নবান্ন উৎসব

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নবান্ন উৎসবকে ঘিরে বগুড়ার উপজেলার ওমরপুর ও রণবাঘা বাজারে মাছের মেলা বসে। এক কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি ওজনের মাছ দেখা যায়।
গতকাল শুক্রবার মেলায় ঢুকেই সারি সারি দোকানগুলোতে চোখে পড়ে মনজুড়ানো সব মাছের পসরা। দূরদূরান্ত থেকে মাছ বিক্রেতারা এসেছেন। তাদের দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো মাছগুলো প্রায় সবই বড় আকারের। এছাড়া নাগরকান্দি, হাটকড়ই, ধুন্দার বাজারেও মাছের মেলা দেখা গেছে। জেলে থেকে শুরু করে মাছ খামারি ও মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের মাছ নিয়ে আসেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের পঞ্জিকা অনুসারে শুক্রবার অগ্রহায়ণের এইদিনে প্রত্যেক বছর নবান্ন উৎসব ঘিরে উপজেলাজুড়ে প্রতিটি বাড়িতেই মেয়ে-জামাইসহ স্বজনদের আগে থেকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। কৃষকদের বাড়িতে উঠেছে নতুন ধান। কাটা-মাড়াই শেষে কেউ কেউ নতুন চাল ঘরে তুলেছেন। নতুন চাল আর বড় মাছে নবান্ন উৎসব।
সকালে রণবাঘা বাজারে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, সুন্দর করে থরে থরে সাজানো সিলভার কার্প, কাতলা, চিতল, রুই, ব্লাডকার্প, বির্গেড, বাঘা আইড়, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। সারি সারি দোকান। চলে হাঁকডাক, দরদাম। এক কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি ওজনের মাছ। লোকজনও ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন। অনেকেই আবার এসেছেন কেবল মাছ দেখতে। ২০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বির্গেড ও সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হয়েছে। রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। চিতল ব্লাডকার্প মাছ ওজনভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

এছাড়া ৪৫ কেজি ওজনের বাঘা আইড় মাছ ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
ক্রেতা দিলীপ চন্দ্র ও উত্তম কুমার বলেন, মেলায় এক কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি ওজনের মাছ এবং শীতকালীন হরেক রকমের সবজি ওঠে। প্রতিবারের মতো এবারো ক্রেতাদের ভিড়। মাছের দামও অনেকটা স্বাভাবিক বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলেন, যুগ যুগ ধরে অগ্রহায়ণ মাসের এইদিন মাছের মেলা বসে। দিন যতই যাচ্ছে এই মেলার ঐতিহ্য ততই বাড়ছে।
মাছ বিক্রেতারা বলেন, ছোট-বড় মিলে শত শত মাছের দোকান বসে। প্রত্যেক বিক্রেতা অন্তত ১০ থেকে ২০ মণ করে মাছ বিক্রি করেছেন। নবান্ন উৎসবকে ঘিরেই তারা মূলত মেলায় বড় বড় মাছ বিক্রি করতে আনেন। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা মাথায় রেখে তারা মাছের দাম নির্ধারণ করেন। এলাকার মানুষদের সঙ্গে খুব একটা দামাদামি করেন না তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়