রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

টানা তৃতীয়বারের মতো ফিফা সভাপতি হচ্ছেন ইনফান্তিনো

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ফিফা) বর্তমান সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার সভাপতিত্বের দ্বিতীয় মেয়াদ চলছে এখন। ফিফার ইনফান্তিনো-যুগের ইতি শিগগিরিই ঘটছে না। টানা তৃতীয় মেয়াদে ফিফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তিনি। ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ রুয়ান্ডার কিগালিতে অনুষ্ঠিত হবে ৭৩তম ফিফা কংগ্রেস। সেখানেই আনুষ্ঠানিকতা পাবে বিশ্ব ফুটবলের বর্তমান প্রধান কর্তার তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব ফুটবরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করে। সেখানে বলা হয়, গত মার্চে নির্বাচন আহ্বান করা হয়েছিল। এরপর ফিফার সব সদস্য দেশ মিলে কেবল ইনফান্তিনোকেই প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করে। তার আর কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই। সে কারণেই আগামী বছর সভাপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ইনফান্তিনো।
প্রথমবারের মতো ২০১৬ সালে ফিফা জেপ ব্লাটারের জায়গায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ইনফান্তিনো। এরপর ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
ফিফায় একাধিক মেয়াদে দীর্ঘ সময় ধরে সভাপতি থাকাটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৫ সালে আর্থিক গড়মিলসহ নানা অভিযোগে নিষিদ্ধ হন সেপ ব্লাটার। ১৭ বছর একটানা সভাপতি পদে থাকার পর পতন হয় ব্লাটার সাম্রাজ্যের। নারী কেলেঙ্কারি কিংবা আর্থিক গড়মিল ব্লাটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল অনেক। সব অভিযোগ নিজের ক্ষমতাবলে ধামাচাপা দিয়ে এসেছিলেন ব্লাটার। এরপর থেকেই ইনফান্তিনো আছেন ফিফার দায়িত্বে।
এদিকে বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়েছেন ইনফান্তিনো। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সামিটে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফুটবল হলো ভালো কিছু করার শক্তি। অবশ্যই আমরা দুধের শিশু নই যে বিশ্বাস করব, ফুটবল বিশ্বের সমস্যা সমধান করতে পারবে। তার জন্য আপনারা আছেন। ক্রীড়া সংগঠন হিসেবে আমরা জানি, আমাদের মূল দৃষ্টিটা খেলাধুলার দিকেই দেয়া উচিত। তবে ফুটবল বিশ্বকে একত্রিত করে। এই বিশ্বকাপ যেহেতু ৫০০ কোটি মানুষ দেখবে, তাই ইতিবাচক ও আশার বার্তা দেয়ার মাধ্যম হতে পারে এটি।’ ফিফা সভাপতি আরো বলেন, ‘রাশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। ইউক্রেন ২০৩০ বিশ্বকাপের জন্য বিডিং করছে। তাই আপনাদের সবার প্রতি আমার আবেদন বিশ্বকাপের সময় এক মাসের সাময়িক যুদ্ধবিরতির কথাটা ভেবে দেখবেন। অন্তত মানবিক দিক চিন্তা করে অথবা এমন কিছু যার ফলে শান্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ নেয়া যায়।’
ইউক্রেনে হামলার পর থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ রাশিয়া। তাই প্লে-অফ খেলার আগেই কাতার বিশ্বকাপের দরজা বন্ধ হয়ে যায় তাদের জন্য। প্রায় এক বছর হলো প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ ম্যাচ থেকে দূরে আছে রাশিয়া।
এবারের বিশ্বকাপে না খেললেও বেশ কয়েকটি দিক থেকে কাতারকে সাহায্য করেছে গতবারের আয়োজকরা।
বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উৎসবের অপেক্ষা যেমন আছে, তেমনি আছে অস্বস্তিও। সমকামী বিরোধিতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে করা নিপীড়নমূলক আচরণসহ নানা বিষয় নিয়ে এখনো সমালোচনার মুখে আছে আয়োজক দেশ কাতার। বিশ্বকাপের মাঠেও প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো। তবে ফিফার পক্ষ থেকে বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া দেশগুলোকে বিতর্ক ভুলে ফুটবলে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানি, ফুটবল শূন্যে বাস করে না। পাশাপাশি আমরা এ নিয়েও সচেতন, সারা বিশ্বের রাজনৈতিক প্রকৃতির নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ ও জটিলতা আছে। তবে দয়া করে বিদ্যমান আদর্শিক ও রাজনৈতিক যুদ্ধে ফুটবলকে টেনে আনবেন না।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়