কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর উপকণ্ঠ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন চনপাড়া বস্তিতে সব ধরনের অপকর্মের হোতা হিসেবে পরিচিত বজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল শুক্রবার বিকালে র‌্যাব-১ এর একটি দল ওই বস্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। চনপাড়া কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউপি শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। র‌্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন ভোরের কাগজকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন চনপাড়া বস্তি কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউপি শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান সব অপকর্মের হোতা হিসেবে পরিচিত। বস্তির একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বজলু বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। প্রতিটি সভা-সমাবেশে বজলু বাস ও নৌকাযোগে ১০-১২ হাজার লোক দিয়ে থাকেন। তবে, বস্তির কোনো কিছুতেই বজলু সামনে থাকেন না। সবকিছু তার ভাই, মেয়ে ও শ্যালকরা মিলেমিশে করেন। তাদের অপকীর্তি সামাল দেন বজলু। সামান্য একজন ইউপি সদস্য হলেও তার আছে তিনজন গানম্যান, পিএস ও এপিএস। চলাচল করেন বিশেষ প্রটোকল নিয়ে।
গুঞ্জন আছে, বজলু মানুষ খুনের কন্ট্রাক্টও করেন বস্তিতে বসে। বজলু কাউকে পাত্তা দেন না। অজানা আতঙ্কে সবাই তাকে সমীহ করে চলে। একজন মেম্বারের কত ক্ষমতা হতে পারে তা বজলুকে কাছ থেকে না দেখলে বোঝা দুষ্কর। আলোচিত এই বস্তির ভেতরে একটি চারতলা ভবন সবার কাছে আতঙ্কের স্থান হিসেবে পরিচিত। এই ভবনের চারতলায় বজলুর রহমান নিয়মিত সালিশ করেন। আর তৃতীয় তলায় রয়েছে তার টর্চার সেল। অন্ধকারাচ্ছন্ন তৃতীয় তলার নাম দেয়া হয়েছে ‘সেতুবন্ধন’। বিচারের নামে সেখানে লোকজন ধরে এনে পাশবিক কায়দায় নির্যাতন করে টাকা আদায় করা হয়। মাদক বিক্রির টাকা ভাগবাঁটোয়ারা চলে। রাতে বসে জুয়ার আসর।
র‌্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বরে র‌্যাব অভিযান চালালে হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগেই অভিযান চালিয়ে বজলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।