রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

কুড়িগ্রাম : আজ বেরুবাড়ী গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : আজ ১৯ নভেম্বর বেরুবাড়ী গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা ১৬ জন নিরীহ-নিরপরাধ গ্রামবাসীকে ধরে এনে একসঙ্গে গুলি করে হত্যা করে। শহীদ হন আরো ৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
একাত্তরে ঈদুল ফিতরের আগের দিন মুক্তিবাহিনীর একটি দল উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের চর বেরুবাড়ী গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘাঁটি স্থাপন করে। খবর পেয়ে পাকবাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় গ্রামটিকে তিন দিক থেকে ঘেরাও করে শত শত গ্রামবাসীকে আটকিয়ে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অগ্নিসংযোগ, গোলাবর্ষণ করতে করতে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটির দিকে এগোতে থাকে। মুক্তিবাহিনী তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়। নিরীহ-নিরপরাধ গ্রামবাসীকে মানবঢাল হিসেবে দেখে গুলি না চালিয়ে পিছু হটে দুধকুমার নদের পূর্ব পাড়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় পাকবাহিনীর গুলিতে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
ক্ষুব্ধ পাক হানাদার বাহিনী আটক নিরীহ গ্রামবাসীর মধ্য থেকে বেছে বেছে ১৯ জন যুবককে ধরে বিদ্যালয়ের মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে ১৬ জন। ভাগ্যচক্রে বেঁচে যাওয়া গুলিবিদ্ধ ৩ জন ওই লাশের স্তূপের নিচে নিস্তব্দ পড়ে থাকেন। পরে পাকসেনা ও রাজাকাররা চলে গেলে তারা সেখান থেকে উঠে পালিয়ে যান। পরদিন ঈদুল ফিতরের সকালে শোকে মুহ্যমান স্বজন ও গ্রামবাসী তাদের পুরনো কাপড়ে জড়িয়ে দ্রুত সমাহিত করে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। আজো সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা ভোলেনি চর বেরুবাড়ী গ্রামবাসী।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মতিয়ার রহমান নান্টু বলেন, পাকবাহিনীর সেদিনের নৃশংসতার কথা মনে হলে আজো আমরা আঁতকে ওঠি। আগামী প্রজন্ম যাতে শহীদদের এ আত্মত্যাগের কথা ভুলে না যায়, সেজন্য জায়গাটি সংরক্ষণ করে সেখানে একটি স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপন করা জরুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়