রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

আড়াই বছর পর দুলাল হত্যার রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাসির উদ্দিন জর্জ, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে : গাজীপুরের শ্রীপুরে টাকা ছিনিয়ে নিতে নেসলে কোম্পানির কর্মী দুলাল হোসেনকে (৩৫) খুন করা হয়েছে। খুনের পর তার লাশ হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে হত্যাকারীরা। ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
হত্যার শিকার দুলাল হোসেন শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। তিনি নেসলে বাংলাদেশ-এর নুডলস্ বিভাগে চাকরি করতেন। গ্রেপ্তারকৃত হাসান ইবনে মারুফ আনসারী (২৪) একই উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন আনসারীর ছেলে।
পিবিআইর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গত ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন দুলাল। পথে রাজেন্দ্রপুর পেপসি গেইট এলাকার এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করেন তিনি। মেইন রোডে সহকর্মী শামীমের মোটরসাইকেল থেকে নেমে সরু পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ির কাছে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা প্রতিবেশী হাসান ইবনে মারুফ আনসারী ও তার দুই সহযোগী যুবক ওই টাকা ছিনিয়ে নিতে বাঁশ দিয়ে দুলালের মাথায় আঘাত করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দুলাল। পরে হামলাকারী যুবকেরা দুলালের কাছ থেকে টাকাভর্তি মানিব্যাগ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং মানিব্যাগের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়।
এ ঘটনার পর ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দুলালকে মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বাড়িতে সংবাদ দেন প্রতিবেশী মাসুম মাস্টার। তিনি (মাসুম মাস্টার) তার ছোট ভাই হাসান ইবনে মারুফ আনসারীকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। পরে হাসান ইবনে মারুফ আনসারী এবং তার ভাই মাসুম মাস্টার ঘটনাস্থল থেকে দুলালকে উদ্ধার করে প্রথমে বাসায় এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুলাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। শ্রীপুর থানা পুলিশ এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে পুলিশ সদর দপ্তর।
পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দুলাল খুনের ঘটনায় জড়িত হাসান ইবনে মারুফ আনসারীকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত হাসান নিজেকে জড়িয়ে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের নাম উল্লেখ করে গত বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্লুলেস এ ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়