রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য : শিশুবক্তা রফিকুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি : বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে

পরের সংবাদ

অনন্য অপর্ণা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অপর্ণা ঘোষ। মঞ্চ, টেলিভিশন, সিনেমায় নিপুণ পদচারণা তার। গতকাল মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘মেইড ইন চিটাগং’। ‘মেইড ইন চিটাগং’ নামের ড্রামা সিরিজের তুমুল জনপ্রিয়তার পর সেই অপর্ণা ও পার্থ বড়ুয়া জুটিকে নিয়ে বড়পর্দায় আসছেন নির্মাতা ইমরাউল রাফাত। কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে অপর্ণা বলেন, ‘চট্টগ্রামের মেয়ে হিসেবে কাজটা করা আমার দায়িত্বের মধ্যেই ছিল। নাটকটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল চট্টগ্রামের আঞ্চলিকতা নিয়ে কাজটা বড়পর্দায় দেখানো। কাজটা নিয়ে আমরা অনেকবার বসেছি, অবশেষে কাজটা সম্পন্ন হয়েছে। চিত্রনাট্য পড়ে আমার মনে হয়েছে এটা সিনেমার জন্যই, কারণ নাটকের জন্য একটা থিম নিয়ে নিলেও বড় পর্দার প্রস্তুতিটা বড় পরিসরেই করতে হয়।’ নিজের জায়গায় কাজ করার ফলে শুটিংয়ে সাহসটাও বেশি পেয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী। চট্টগ্রামের সংস্কৃতি, আঞ্চলিকতার গল্পে নির্মিত এ সিনেমায়ও থাকছে নাটকের সেই সোলায়মান আর নূরজাহান দম্পতি। একই চরিত্রে এবার বড় পর্দায় নতুন গল্প শোনাবেন তারা। এ বছরের এপ্রিলের শেষ থেকে মে পর্যন্ত চলে সিনেমার শুটিং। সিনেমাটি চট্টগ্রামের মাত্র দুটি সিনেমা হলে মুক্তি পেলেও দেশব্যাপী কেন মুক্তি পাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে অপর্ণা বলেন, ‘দেশব্যাপী দেয়া হবে, তবে তার আগে চট্টগ্রামের মানুষদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যেহেতু সিনেমাটা চট্টগ্রামের সবকিছুকে কেন্দ্র করেই। এরপর পরবর্তী মাসে হয়তো ঢাকায় সিনেপ্লেক্সে বা অন্যান্য হলে দেয়া হবে। এটা নিয়ে বিঞ্জের আলাদা প্ল্যান আছে।’ মেইড ইন চিটাগং সিনেমার ‘পেট ফুরেদ্দে’ গানটির আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘আসলে এটা চট্টগ্রামের একটা নিজস্ব ধারা। সেখানকার স্থানীয়রাই এর মর্মার্থ বুঝতে পারবে। অন্যান্য জেলার মানুষের বুঝতে একটু সমস্যা হতে পারে। যেকোনো অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে একেক অঞ্চলের মানুষ একেকভাবে প্রকাশ করে, তাই এটা আগে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে, মন খারাপ করছে- চট্টগ্রামের স্থানীয় মানুষ সেটাই পেট ফুরেদ্দে বলে নিজেদের মনের ভাবটা প্রকাশ করে।’
ছোটবেলায় অভিনয়ের কোন ইচ্ছা না থাকলেও ঘুরে বেড়ানোর আর বিমানে ওড়ার ইচ্ছা ছির সবসময়। বিমানে ভ্রমণ করাটাকেই ছোটবেলায় স্বপ্ন হিসেবে ধারণ করতেন অভিনেত্রী। বড় হওয়ার পর বাবার সঙ্গে থিয়েটারে যাওয়াটাকে বেশ উপভোগ করতেন বলেও জানান অপর্ণা।  কাজের অবসর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অপর্ণা বলেন, ‘যখন প্রতিনিয়ত কাজ করেছি, অবসর একদমই ছিল না। আমাদের এখানে কাজের যে চাপ, রাতে একটু ঘুমিয়ে সকালে আবার কাজে ব্যস্ত হওয়া। তবে নিজের জন্য সময় বের করতে পারলে দেশ ও দেশের বাইরে ঘুরতে যেতাম। দেশের মধ্যে এরকম জায়গা কমই আছে যেখানে যাইনি। তবে এখন অবসরে রান্না করি হাজব্যান্ডের জন্য, যেটা আমি খুব উপভোগ করি। এ ছাড়া জাপানি ভাষাটা শিখছি, আমার হাজব্যান্ড যেহেতু ওখানে থাকে, আমাকে মাঝেমধ্যে ওখানে গিয়ে থাকতে হবে।’

:: আর এস সৈকত

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়