কাগজ প্রতিবেদক : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিখোঁজ চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। গত বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. জাকির নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেন অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
গত ৮ নভেম্বর ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ শেষে সহকর্মী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে একটি খুদেবার্তা পাঠিয়ে নিরুদ্দেশ হন ডা. জাকির হোসেন। এরপর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিখোঁজের বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং তার শ্বশুর গত ১০ নভেম্বর ভাঙ্গা থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির বিবরণে বলা হয়, গত ৮ নভেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত জাকির হোসেন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের দায়িত্ব শেষ করে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। ৯ নভেম্বর রাত ১২টা ৩ মিনিটে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে স্ত্রী কলির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে খুদেবার্তায় জানানো হয়- বিদ্যুৎ নেই, মোবাইল ফোন যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
একই দিন ভোর ৫টা ৫৪ মিনিটে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে আরেকটি খুদেবার্তায় বলা হয়- ‘শাশুড়ি অসুস্থ; জরুরি ঢাকায় যেতে হবে। আগামীকাল (১০ নভেম্বর) ফিরতে একটু দেরি হবে’।
৩৮তম বিসিএস-এর কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভাঙ্গার তুজারপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো স্থাপনা না থাকায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করা হয়। সেই থেকে তিনি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত।
জাকির হোসেন মানিকগঞ্জ শহরের বনগ্রাম আবাসিক এলাকার ৪৫/১ বাড়ির বাসিন্দা মো. সামসুল আলম ও জেসমিন আক্তার দম্পতির ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা।