মাসুদ বিন মোমেন আরো দুই বছর পররাষ্ট্র সচিব

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপ উন্মাদনায় মেতেছে বিশ্ব

পরের সংবাদ

প্রশ্নে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি’ : পাঁচ শিক্ষককে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক’ প্রশ্ন রাখার ঘটনায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত কমিটির তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব। তবে ওই প্রতিবেদনে কী আছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
আহসান হাবীব বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না। তবে তদন্তে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও সংশোধনের দায়িত্বে থাকা পাঁচ শিক্ষককেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশও করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরেও জমা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় দোষী শিক্ষকদের কী শাস্তি হতে পারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও বাতিল এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লঘু ও গুরু যে কোনো শাস্তি হতে পারে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
প্রশ্নপত্রে ‘সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক’ প্রশ্ন রাখার ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্যের এ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক এ কে এম রব্বানী। অন্য সদস্যরা হলেন- বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম ও উপকলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাশ। গত ৬ নভেম্বর সারাদেশে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বোর্ডের ‘কাসালাং’ সেটের নাটক সিরাজউদ্দৌলা অংশের ১১ নম্বর প্রশ্নে ‘সা¤প্রদায়িক বিদ্বেষের’ বিষয়টি উঠে এসেছে। গত ৮ নভেম্বর প্রশ্ন প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত পাঁচ শিক্ষককেই এ ঘটনায় জড়িত বলে চিহ্নিত করার কথা জানায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এরা হলেন- প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল এবং প্রশ্নপত্র পরিশোধনকারী (মডারেটর) নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
প্রশ্নে যা ছিল : প্রশ্নের একটি অংশে বলা হয়, নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামের এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে। এই গল্প উল্লেখ করে প্রশ্নপত্রে চারটি প্রশ্ন করা হয়। তার দুটি এ রকম মিরজাফর কোন দেশ হতে ভারতে আসেন? উদ্দীপকের নেপাল চরিত্রের সঙ্গে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মিরজাফর চরিত্রের তুলনা করো?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়