মাসুদ বিন মোমেন আরো দুই বছর পররাষ্ট্র সচিব

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপ উন্মাদনায় মেতেছে বিশ্ব

পরের সংবাদ

দীর্ঘদিনেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ : দুই উপজেলার মানুষের ভোগান্তি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অলিউর রহমান মেরাজ, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ ও পীরগঞ্জের জয়ন্তিপুর ঘাটের সেতু অল্পদিনের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষে আলোর মুখ দেখবে। বর্তমানে জোরেসোরে কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এদিকে নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ায় বাঁশের লম্বা সাঁকোতে পারাপার হতে হচ্ছে দুই উপজেলার মানুষকে।
জানা গেছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার পুরোদমে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীতে জয়ন্তিপুর ঘাটে নির্মাণাধীন সেতুটি। এটি নির্মিত হলে রংপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও হিলি স্থলবন্দর, জয়পুরহাটের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী টুকুরিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর সড়কের জয়ন্তিপুর ঘাটে করতোয়া নদীর উপর পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে এ কাজের তদারকি করছে। এতে ৩০ কোটি ৩১ লাখ ১৪ হাজার ৭৭০ টাকা চুক্তিমূল্যে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ ৯৪ হাজার ২০৩ প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মজিবর রহমান জানান, জয়ন্তিপুর ঘাট-গোপিনাথপুর সড়কে ১৫০০ মিটার চেইনেজে জয়ন্তিপুর ঘাটে করতোয়া নদীর উপরে ২৯৪ মিটার দৈর্ঘ্য, ৯.৮ মিটার প্রস্থে ফুটপাতসহ এ ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ৮০টি পাইল, ৭টি স্প্যান, ৬টি পিলার ও ২টি এবাটমেন্ট রয়েছে। এছাড়া রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সীমানায় ৩৮৭ মিটার ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সীমানায় ৪৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫৮টি পাইল, ৩টি পিলারের বেজ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। টুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মণ্ডল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় জয়ন্তিপুর ঘাটে ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দেন। এ সেতু নির্মাণের ফলে দিনাজপুরের দাউদপুর, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণ দীর্ঘদিনের দাবি পূরণসহ দুর্ভোগ-ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি ঘটবে। এলাকার কৃষকদের কৃষিজাত পণ্য সহজে পরিবহনের ফলে নিকটতম হাটবাজারে বিক্রিতে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে। নবাবগঞ্জ উপজেলার মজিদনগর কারিগরি স্কুলের সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, এ সেতু নির্মাণ হলে ওই পীরগঞ্জ-নবাবগঞ্জের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আত্মীয়তা ও ব্যবসায়িক কাজের পরিপূরক হিসেবে ঘাট পারাপারে কষ্ট লাঘব হবে এবং দুই উপজেলার যোগাযোগ উন্নয়ন হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়