মো. আজিম উদ্দিন সাভার, (ঢাকা) থেকে : ঢাকার সাভারে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এসিল্যান্ডকে ছুরিকাঘাত করে মানিব্যাগ, মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ ছিনতাইকারীসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত চারটি গিয়ার সুইচ চাকু ও এসিল্যান্ডের মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার বাজুন্দি গ্রামের মৃত মালেক ফকিরের ছেলে রাসেল ফকির (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার গজারিয়া বাজার গ্রামের মো. ছাত্তারের ছেলে নাঈম (২০), রাজধানীর ভাসানটেক থানার পশ্চিম ভাসানটেক গ্রামের মো. কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান (২২), মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার তিল্লিরচর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সজীব আহমেদ (২০) ও পাবনা জেলার বেড়া থানার ছোট পায়না গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মো. আরমান (২১)। এরা সবাই রাতে সাভারের আশপাশে ছিনতাই করে।
এছাড়া সাভার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ার সালাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আজীম উদ্দিনের ছেলে মোবাইল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফাকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ওই ছিনতাইকৃত মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা নেশাগ্রস্ত। এদের মধ্য থেকে কামরুল হাসানের নামে সাভার থানায় দুইটি মামলা, সজীব আহমেদের নামে একটি মামলা ও আরমানের নামে একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া রাসেলের নামে আশুলিয়া থানায় দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। এসব মামলায় পলাতক ছিলেন তারা।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই সুদীপ কুমার গোপ বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ তদন্ত করছেন। এই ছিনতাইয়ের ঘটনার মূলহোতা রাসেল দুইদিনের রিমান্ডে রয়েছে। এছাড়া সাতদিনের রিমান্ডে নিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাকি আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে আদালত তা গ্রহণ করে এবং তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ অক্টোবর ৪৯ দিনের ল্যান্ড সার্ভে ও সেটেলমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে সাভারে আসেন কলাপাড়ার এসিল্যান্ড আবু বকর সিদ্দিক।
গত ১৪ নভেম্বর বিকালে তার অসুস্থ মাকে দেখার জন্য রাজধানীর মিরপুরে যান তিনি। সেখান থেকে রাতেই সাভারে ফিরে আসেন। রাতে সাভারের সিএন্ডবি এলাকায় বাস থেকে নামার পর ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি।
এ সময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। বর্তমানে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।