জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

হাইকোর্টের নির্দেশ : সব কারাগারে পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের সব কারাগারের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নিয়োগের কাজ শেষ করে আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আদেশ দেয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (আইজি প্রিজন) এই আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়। গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ। এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও এডভোকেট জেআর খান রবিন। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এই সংক্রান্ত এক নির্দেশনার পর কারা কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন আদালতকে জমা দেয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, কারাগারের হাসপাতালগুলোতে মোট ২৪ জন চিকিৎসক রয়েছেন। যদিও হাসপাতাল অনুসারে ১৪১ জন চিকিৎসক প্রয়োজন। পরে বাকি ১১৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর পরপরই আরো চিকিৎসক নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই নিয়োগের পরে সেখানে মোট চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১২ জনে। কিন্তু এর মধ্যে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়। এরপর চিকিৎসক নিয়োগের পর তা প্রত্যাহার করে নেয়ার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী জেআর খান রবিন। ওই আবেদনের গত ১ নভেম্বর শুনানি হয়। সে সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগের পর প্রত্যাহার করে নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে শুনানির দিন ঠিক করেছিলেন মঙ্গলবার। শুনানি শেষে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
পরে আইনজীবী জেআর খান রবিন বলেন, ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি দেশের কারাবন্দিদের চিকিৎসার জন্য কারা হাসপাতালগুলোতে কত চিকিৎসক প্রয়োজন তা জানাতে কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চিকিৎসক নিয়োগের বিধিমালা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। পরে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়। কিছুদিন পর আবার তা প্রত্যাহার করা হয়। বিষয়টি আদালতকে আমরা অবহিত করি। এই বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়