জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশ : সেই রুবেল বেকসুর খালাস চাকরিতে ফেরার আকুতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : আত্মহত্যার প্ররোচার মামলা থেকে বেকসুর খালাস হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য মো. রুবেল। গত ২৪ জুলাই মামলা থেকে বেকসুর খালাস হলেও প্রায় সাড়ে তিন মাসেও চাকরি ফিরে না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। এ ঘটনায় গত রবিবার রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধানের কাছে সন্তানকে চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানিয়েছেন তার মা। রুবেল উপজেলার বজরাটেক এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। সেনাবাহিনীতে তার ব্যাচ নম্বর ১২৩৯৬০৪।
জানা গেছে, স্বামীর পরকীয়া ঘটনায় ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল মাসকুরা আক্তার বিউটি নামে বজরাটেক এলাকার এক গৃহবধূ বিষপান করেন। পরদিন ৮ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ওই নারীর স্বামী আজম আলী ও রহস্যজনকভাবে সেনা সদস্য মো. রুবেলকে আসামি করে একটি মামলা করেন নিহতের বাবা আব্দুল হামিদ ওরফে ওদুদ।
সূত্র জানিয়েছে, ওই বছরের এপ্রিল মাসে মার্শাল কোর্টের মাধ্যমে রুবেলকে বরখাস্ত করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়। প্রায় দেড় বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। অথচ একই মামলার প্রধান আসামি আজম এক সপ্তাহের মাথায় জামিনে বেরিয়ে আসেন। পরে প্রেমিকাকে বিয়েও করেন আজম। বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ১১ জানুয়ারি ‘নেপথ্যে পরকীয়া : প্রতিবেশীর ষড়যন্ত্রে চাকরিচ্যুত হয়ে জেলে সেনাসদস্য’ শিরোনামে ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করে। সবশেষ গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর জামিনে কারামুক্ত হয়ে রুবেল এ বছরের ২৪ জুলাই মামলাটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
এ বিষয়ে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য মো. রুবেল বলেন, মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। আদালতের রায়ে সেটি প্রমাণ হয়েছে। তার মা সাহার বানু ভোরের কাগজকে বলেন, রুবেলের এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে তার বাবা মারা যায়। মানুষের কাজ করে কোনোমতে এএইচএসসি পর্যন্ত তাকে পড়ায়। এরপর সে চাকরি পায়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ছেলের চাকরি চলে যাওয়ার পর আবারো মানুষের কাজ করতাম। কিন্তু আমি অসুস্থ হয়ে কাজে অক্ষম হয়ে গেছি। ছেলেটাও পাগলপারা হয়ে ঘুরছে। অর্ধাহারে-অনাহারে কোনোমতে বেঁচে আছি। সাহার বানু বলেন, ভিক্ষা করে খেতে চাই না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধানের কাছে ছেলের পূর্বের চাকরিটা শুধু ভিক্ষা চাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়