জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

ফুলবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ. এম. আবদুছ ছাত্তারের বিরুদ্ধে। গত ৩০ অক্টোবর সংসদ সদস্য, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় মো. আবু হানিফা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটিসহ নিয়োগ বাছাই কমিটির স্বাক্ষর জাল করে ২০০৪ সালে মো. বিলাল হোসেনকে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগ দেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোপনে এ শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার পর তিনি বিদ্যালয়ে আসেননি কোনো দিন। হঠাৎ করেই ২০১৭ সালে তিনি বিদ্যালয়ে হাজির হন এবং প্রধান শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাকে স্বাক্ষর করান। এ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি জানেন না ম্যানেজিং কমিটির কেউ।
অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক জাল নিবন্ধন সনদে ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে থাকাকালীন সময়ে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে ছাকিয়াতুল জান্নাত নামের এক শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেন। এই শিক্ষিকা বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক পদে এমপিওভুক্ত রয়েছেন। তার ইনডেক্স নম্বর ১০৬৯০৬৭। উপজেলা শিক্ষা অফিস এনটিআরসিএ নিয়োগপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের তথ্য চাইলে কোনো তথ্য দেননি প্রধান শিক্ষক। এই শিক্ষকের বিএড প্রশিক্ষণ না থাকলেও প্রধান শিক্ষকের অনুমোদনক্রমে তিনি বি.এড স্কেলে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। প্রধান শিক্ষক করোনাকালীন সময় ভুয়া শিক্ষক তৌহিদুজ্জামানকে দিয়ে সরকারি প্রণোদনার টাকা উত্তোলন করেন, যে শিক্ষক নিয়োগের পর অদ্যাবধি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি। এমনকি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও না করার অভিযোগে রয়েছে।
অন্য অভিযোগে প্রকাশ, প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে ২-৪ দিন স্কুলে এসে হাজিরাখাতায় সকল কর্মদিবসের স্বাক্ষর করেন। এছাড়াও এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়ম, অর্থ কেলেংকারী ও নারী কেলেংকারীসহ নানা অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টিও স্বীকার করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এইচ. এম. আবদুছ ছাত্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি চক্রান্তের শিকার।
ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. আ. মান্নান বলেন, আমি আগের কমিটিতে ছিলাম, এখনো আছি। কোনো শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কমিটিকে জানাত না। নিয়োগের পর কৌশল করে স্বাক্ষর নিয়ে নিত।
ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি জয়নাল আবদিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বলেন, আবেদনটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়