জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

ধান কাটা শুরু : বড়াইগ্রামে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আবু সাঈদ, বড়াইগ্রাম (নাটোর) থেকে : বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঠে মাঠে এখন সোনালি রং ধারণ করে পাকতে শুরু করেছে রোপা আমন ধান। কৃষকের মুখে ফিরে এসেছে কষ্ট ভোলানো হাসির ঝিলিক। আর কয়েক দিন পরেই শুরু হবে ধান কাটা। সে ভাবনায় ব্যস্ত কৃষক পরিবারগুলো ইতোমধ্যে ঘর গোছাতে শুরু করেছে। নতুন করে তৈরি করেছেন ধানের গোলা। কিছু কিছু জমিতে ধান কাটা শুরুও হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। উপজেলার অধিকাংশ অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ পাকা আমন ধানে ভরে গেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রকৃতি এবার কিছুটা অনুকূলে থাকায় ঘরে ওঠা ফসলের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তবে নতুন ধানে গোলা ভরিয়ে তোলার স্বপ্নের আকাশে দুশ্চিন্তায় কালো মেঘও রয়েছে। প্রকৃতির বৈরিতা নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা ও ভীতি কাজ করছে মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এই ফসল শ্রমিকদের মনে। ধান কাটা-মাড়াইয়ের সময় অতিরিক্ত ঝড়-বৃষ্টি হলে তাদের কষ্টে উৎপাদিত ফসল ঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারবেন না কৃষক। তার সঙ্গে বাজার দরের হালচাল নিয়েও কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে কৃষকদের মনে। বাজারে ধানের দাম কমে গেলে তারা উৎপাদন খরচ নিয়েও বিপাকে পড়বেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ১৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। উপজেলায় মোট রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৯২৩ হেক্টর জমিতে। এবারের ধান রোপণের শুরুতেই অনাবৃষ্টির কারণে ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে অনেক কৃষককে নতুন করে আবার ধানের চারা রোপণ করতে হয়। ফলে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। তবুও কৃষক এবার ফসল উৎপাদন নিয়ে আশাবাদী।
উপজেলার দারিকোল গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম জানান, এ মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। মাঠভর্তি সোনার ফসল দেখে বুকটা ভরে যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতির লীলা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। যদি প্রকৃতি বৈরী আচরণ না করে তাহলে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে এবার।
কুমরুল গ্রামের এনামুল, পিনাকি ও কাজল বলেন, আমাদের এলাকায় ফসল ভালো হয়েছে। যারা এরই মধ্যে ফসল কাটতে শুরু করেছে তারা বলছেন ফলনও ভালো হয়েছে এবার। কৃষকরা বলছেন, সঠিক সময়ে পানির সরবরাহ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা যথাযথ করতে পারলে ভবিষ্যতে ফলন অনেক গুণে বৃদ্ধি পাবে। সে জন্য খালগুলো খনন ও এর সঙ্গে কালভার্টগুলো সংস্কার করা খুবই জরুরি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারমিন শিখা জানান, এবার অনাবৃষ্টির কারণে রোপা আমন বীজের সংকট হয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা কষ্ট করে হলেও সে সংকট কাটিয়ে উঠেছেন। তারপরও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের ধান কেটে যে ফলন পাওয়া যাচ্ছে তা অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি। সে হিসেবে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়