কাগজ প্রতিবেদক : দৈনিক উঠানামার মধ্যে থাকলেও চলতি বছরের সাড়ে ১০ মাসেই ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৫০ হাজারের ঘর ছুঁই ছুঁই করছে। রেকর্ড ছাড়িয়ে মৃত্যুর সূচকও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে ক্রমশ। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ৮ জনের।
গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ৬৯২ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ৮ জনের।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৬০ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি এবং ৩ জনের মৃত্যু হয়। রবিবার রোগী ছিল ৮৫৯ জন আর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। শনিবার রোগীর সংখ্যা ছিল ৯১৮ জন আর মৃতের সংখ্যা ছিল ৬ জন। ডেঙ্গুতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ৩ নভেম্বর। মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দৈনিক সর্বোচ্চ রোগী ছিল ২ নভেম্বর। ওই দিন ১ হাজার ৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৬৯২ জন রোগীর মধ্যে ৩৭২ জন ঢাকার এবং ৩২০ জন ঢাকার বাইরের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮১৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ৬৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর (১ জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯৯২ জন। এই জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২১৩ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৬ হাজার ৯২৮ জন। মাসভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন এবং জুন মাসে ৭৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। বছরের প্রথমার্ধে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১ জনের। দ্বিতীয়ার্ধের জুলাই মাসে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৭১ জন আর মারা গেছে ৯ জন। আগস্টে রোগী ছিল ৩ হাজার ৫২১ আর ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে রোগী ছিল ৯ হাজার ৯১১ জন, মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। অক্টোবর মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৯৩২ জন আর ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বরের ১৫ তারিখ (সকাল ৮টা পর্যন্ত) রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৯৬৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের।