জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ : সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগের আহ্বান

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সেনাসদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে দেশমাতৃকার সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর হালিশহরে সেনাবাহিনীর দ্য ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের (ইবিআরসি) ৯টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে এডহক ৫১ আর্টিলারি ইউনিটে টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট বা মিসাইল সিস্টেমের (টাইগার এমএলআরএস) তৃতীয় ব্যাটারির সংযোজন এবং নবগঠিত ৪৪ শোরাড মিসাইল রেজিমেন্টের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এতে প্যারেডে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৪৪ শোরাড মিসাইল রেজিমেন্টের মেজর ইফতেখার হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ২০২১ সালের ২০ জুন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এমএলআরএসএস এর দুটি ব্যাটারি অন্তর্ভুক্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় ব্যাটারির অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে রেজিমেন্টটির সক্ষমতা পূর্ণতা পেল। নতুন এই সংযোজন এমন অত্যাধুনিক এক সমরাস্ত্র, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতাকে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। ২০১৯ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিকনির্দেশনা, অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় ১২০ কিলোমিটার ও ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম সমরাস্ত্র সংযোজনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আমি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে আমার ওপর আস্থা এবং সেনাবাহিনীর এই আধুনিকায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সক্ষমতার পূর্ণতা অর্জনে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। ৪৪ শোরেড মিসাইল আর্টিলারি রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরো একধাপ এগিয়ে গেল। আধুনিক এফএম ৯০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের সমন্বয়ে গঠিত ৪৪ শোরেড মিসাইল আর্টিলারি নিঃসন্দেহে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে দুর্ভেদ্য আকাশ প্রতিরক্ষা প্রদানে এক গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করবে। সংশ্লিষ্ট রেজিমেন্টের সৈনিকদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, একটি ইউনিটের গঠনপ্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য। আর্টিলারি গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। সমরাস্ত্রে আধুনিকায়নের পাশাপাশি আপনারা নিজেদের যথাযোগ্যভাবে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন, যাতে যুদ্ধক্ষেত্রে সমরাস্ত্রের সর্বোচ্চ ব্যবহারে আপনারা সক্ষম হন। সর্বদা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, এটা প্রতিটি সেনা সদস্যের নৈতিক দায়িত্ব।
এরপর তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়