কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

হত্যামামলায় তিন জেলায় ১২ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে শিশু হত্যামামলায় ৪ জন, ফরিদপুরে লুট ও হত্যামামলায় ৫ জন ও বান্দরবানে হত্যামামলায় ৩ জনসহ ১২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে ৩ জেলায় পৃথক হত্যাকাণ্ডে তাদের এ সাজা দেয়া হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
জয়পুরহাট : ক্ষেতলাল উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শিশু হত্যামামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার সূর্যবান গ্রামের মৃত মোবারক মন্ডলের ছেলে বাবলু, একই এলাকার মৃত ইংরাজ মন্ডলের ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে লালু, মৃত আ. কাদেরের ছেলে আব্দুল হামিদ ও ফিদা মিয়ার ছেলে মো. কাজল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও এডভোকেট গকুল চন্দ্র মন্ডল এপিপি। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট এ ই এম খলিলুর রহমান, এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ও এডভোকেট আহসান হাবীব চপল।
ফরিদপুর : ফরিদপুরে চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল লুটের মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের জেল দেয়া হয়। গতকাল দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত। রায় ঘোষণার সময় নূর ইসলাম ওরফে নজরুল ইসলাম (৪৪) নামে একজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নূর ইসলাম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেষপুরের গ্রামের মো. ই¯্রাইলের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আলফাডাঙ্গা উপজেলার কোনাগ্রামের মনির শেখ (৩৪), ইকতার মোল্যা (৩৩), এনায়েত আমীন (৩৯) ও কাশিয়ানীর ব্যাসপুর গ্রামের মৃত ইছাহাক শেখের ছেলে মিরাজ ওরফে মিরুজ (৩৯)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই সকালে আলফাডাঙ্গার ধুলজুড়ি গ্রামের মৃত ছবুর শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে কালাচানের (৩০) মরদেহ একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আক্কাস শেখ বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কালাচান ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। মামলায় নিযুক্ত সহকারী সরকারি কৌঁসুলি এপিপি এডভোকেট নবাবউদ্দিন বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
বান্দরবান : বান্দরবানে হত্যামামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ২ জন কারাগারে এবং অন্যজন পলাতক রয়েছে। গতকাল দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া আদালত এই আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. নুরুল কবির প্রকাশ নুরাইয়া, ফয়েজ্জ এবং গিয়াইস।
জানা যায়, ১৯৯১ সালের ১১ এপ্রিল জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দার গোলাম কাদেরের ছেলে আব্দুর রহমানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই জহির আহাম্মদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের পর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়ার আদালত অভিযুক্ত ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এক সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের পিপি এডভোকেট ইকবাল করীম বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত দুজন আসামি জেলহাজতে রয়েছেন। অন্য আসামি মো. নুরুল কবির প্রকাশ নুরাইয়া পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। মামলার বাদী নিহতের বড়ভাই জহির আহাম্মদ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়