কাগজ প্রতিবেদক : নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা না দেয়ায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে ওই অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বলেন, শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হয়েছে তারা হলেন- বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিক ও মেসার্স সাহরিশ কম্পোজিট টাওয়াল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নওরীন হাসিব এবং তার বাবা পরিচালক সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৩ মার্চ দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
টেরিটাওয়েল (তোয়ালে জাতীয় পণ্য) উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মতিঝিল ও রমনা মডেল থানায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি ও ১৩ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলার চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি। বর্তমানে মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বিসমিল্লাহ গ্রুপের আত্মসাৎ করা ফান্ডেড টাকার পরিমাণ ৯৯০ কোটি আর নন-ফান্ডেডের পরিমাণ ১৮৪ কোটি। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৩০৭ কোটি, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ১৫ কোটি টাকা। আর প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৬৫ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৩ কোটি, যমুনা ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ১০৮ কোটি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৯৩ কোটি টাকা।
বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী নওরীন হাবিব ১২ মামলারই চার্জশিটভুক্ত আসামি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।