কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

সংযোগ সড়ক ধসে আট গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সেতুর পাশে বিধ্বস্ত সংযোগ সড়ক সংস্কার না হওয়ায় আট গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের তন্তুর কান্দাপাড়া মাদ্রাসা মোড় থেকে কালাকুমা রাস্তার ইরফান আলীর বাড়ির পাশে ১৯৯৯ সালে এলজিইডি একটি সেতু নির্মাণ করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ রাস্তা ও সেতুর উপর দিয়ে তন্তুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালাকুমা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ কালাকুমা, তন্তর, বেলতৈল, মণ্ডলিয়াপাড়া, ঘাকপাড়া, পিঠাপুনি, ফুলপুরসহ আটটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। জানা গেছে, গত প্রায় তিন বছর স্থানীয় কৃষক ইরফান আলী ওই সেতুর নিচে ১০ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনি দিয়ে ছয় ফুট উচ্চতার স্থায়ী বাঁধ দেন। এতে তন্তর বিলের প্রায় ৩৬০ একর জমির পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে সেতুর সংযোগ সড়কের প্রায় ২৫ ফুট বিধ্বস্ত হয়। এতে এলাকাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু ভেঙে যাওয়া সংযোগ সড়কটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে এ পথে যাতায়াতকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা ভাঙ্গা অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
তন্তর গ্রামের দিনমজুর মজিবুর রহমান জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে উঠতে হয়। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় করে। তাড়াতাড়ি রাস্তাটা ঠিক হয়ে গেলে খুব উপকার হতো।
অটোচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, সেতু পার হলেই আমার বাড়ি। আগে অটো বাসায় নিয়ে যেতাম। এখন চার কিলোমিটার ঘরে বাসা থেকে অটো বের করি। আবার চার কিলো ঘুরে রাতে বাসায় অটো নিয়ে যাই। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় খুব কষ্টে আছি।
শিক্ষার্থী আবু হানিফ বলেন, বাসা থেকে সাইকেল চালিয়ে সেতু পর্যন্ত আসি। পরে সাইকেল কাঁধে নিয়ে এই সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাই। খুব ভয় করে, যদি পড়ে যাই তাইলে তো হাত-পা ভেঙে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইরফান আলী বলেন, ওখানে আমার নিজেরও জমি আছে। এদিকে বেশি নিচু থাকায় জমির সব পানি নেমে যায়। তাই আমি বাঁধ দিয়েছিলাম, যেন ওই জমিগুলাতে সবসময় পানি থাকে। কিন্তু এখন বেশি পানি হয়ে সড়কটাই ভেঙে গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা বলেন, ওই সেতুসংলগ্ন সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দেয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সড়ক মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। আর সেতুর নিচে ইট দিয়ে যে বাঁধ দেয়া হয়েছে, তাও ভেঙে দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল আলম রাকিব বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। সরজমিনে গিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়