কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

ফেভারিট হিসেবে কাতারে নামবে সুইজারল্যান্ড

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। দেশটির ফুটবলের সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে সুইস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সুইজারল্যান্ড ১৯০৪ সালে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সদস্যপদ লাভ করে এবং ১৯৫৪ সালে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্যপদ লাভ করে। দেশটির বর্তমান ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১৫। ৩ ছিল তাদের সর্বোচ্চ ফিফা র‌্যাঙ্কিং। যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৩ সালের আগস্ট মাসে। আর তাদের সর্বনি¤œ ফিফা র‌্যাঙ্কিং ছিল ১৯৯৮ সালে ৮৩তম। ১৯০৫ সালে তারা প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবলে অংশগ্রহণ করে। সেখানে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়। এ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপে ১২ বার অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল ১৯৩৪, ১৯৩৮ এবং ১৯৫৪ বিশ্বকাপে। তারা সেখানে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও তাদের সেরা সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনাল। সুইজারল্যান্ডের হয়ে একশর বেশি ম্যাচ খেলা সাকা এই নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপে খেলবেন। বৈশ্বিক আসরে প্রথমবার নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় দলকে। পাশাপাশি দলটির ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছেন মুর্তা ইয়াকিন। হাইনৎস হারমান, আলাইন গাইগার, স্টেফান লিচস্টাইনার, আলেক্সান্ডার ফ্রাই এবং কুবিলায় তুর্কিলমাজের মতো খেলোয়াড়রা একসময় সুইজারল্যান্ডের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
পুরনো রেকর্ড যাই হোক কাতার বিশ্বকাপের আগে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে তারা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আট ম্যাচে অপরাজিত থেকে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করে সুইসরা। হজম করে মাত্র দুটি গোল। আট ম্যাচে সুইসদের জয় পাঁচটি, ড্র তিনটি। যার দুটি ছিল ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইতালির সঙ্গে। গত দুটি বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ড বিদায় নিয়েছিল শেষ ষোলো থেকে। ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ডের মাটিতেই বসেছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। সেই আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে সুইসরা। এবার আরেকবার ৬৮ বছর আগের স্বপ্ন পূরণে করতে আশায় বুক বাঁধতেই পারে আল্পস পর্বতমালার দেশের মানুষ। কাতারে সুইসদের স্বপ্নের বড় কারণ হলো গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। তাকে বলা হয় হিউম্যান ওয়াল। সুইসদের রক্ষণ এবং গোলবারের নিচে সমারকে ফাঁকি দেওয়া প্রতিপক্ষের জন্য হবে বড় চ্যালেঞ্জ। তাকে পেনাল্টি সেভিং স্পেশালিস্টও বলা হয়। সমার আট মৌসুম খেলছেন জার্মান ক্লাব বরুশিয়া মানশেনগøাডবার্গে। সেখানেও দারুণ সফল ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে সুইস স্কোয়াডের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ডাগআউটে ছিলেন তিনি। এবার তাদের অতন্দ্র প্রহরী তিনি। সুইসদের কাতার বিশ্বকাপে নিয়ে আসতে তার অবদান অনেক। আট ম্যাচে মাত্র দুটি গোল হজম করেন তিনি।
সুইজারল্যান্ডের আরেক ভরসার নাম রিকার্ডো রদ্রিগুয়েজ। ইতালির ক্লাব তুরিনোয় খেলেন ৩০ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডার। ক্লাবে তিনি লেফট ব্যাক হিসেবে খেলেন। জাতীয় দলেও ওই ভূমিকায় বেশি দেখা যায়। কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সুইজারল্যান্ডের বড় শক্তি অভিজ্ঞতা। দলটির শুরুর একাদশের অধিকাংশ ফুটবলারের বয়স ত্রিশ বছরের কাছাকাছি। যারা একসঙ্গে প্রায় দশ বছর ধরে খেলছেন। গ্রানিথ সাকা তাদের একজন। সুইসদের মিডফিল্ডের অন্যতম ভরসার নাম। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলতে পারেন। রাইট উইঙ্গে খেলতে পারেন। লিভারপুলে স্ট্রাইকার পজিশনেও খেলেছেন তিনি। পাঁচ ফিট সাত ইঞ্চি উচ্চতার টাইট-ফিট বডির শাকিরি প্রতিপক্ষের জন্য হতে পারেন বড় হুমকি। সবার দারুণ পারফরম্যান্স নিয়ে কাতারে ফেভারিট হিসেবেই নামবে সুইজারল্যান্ড। এবারের আসরে তাদের গ্রুপে তিন প্রতিপক্ষ ব্রাজিল, সার্বিয়া ও ক্যামেরুন। তিনটিই কঠিন প্রতিপক্ষ। আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে আগে কখনো খেলা হয়নি সুইসদের। তবে ব্রাজিল ও সার্বিয়ার সঙ্গে খেলেছে বেশ কয়েকটি ম্যাচ। আগামী ২৪ নভেম্বর ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কাতার বিশ্বকাপের মিশন শুরু করবে সুইজারল্যান্ড।
– আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়