কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

জেলেনস্কির অভিযোগ : খেরসনে চারশ যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, খেরসন অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ৪০০-এর বেশি যুদ্ধাপরাধের ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেন তিনি। গত রবিবার রাতে দেয়া এক ভিডিও বক্তব্যে জেলেনস্কি এসব কথা বলেন। খবর বিবিসির।
ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, খেরসনে বেসামরিক নাগরিক এবং সেনাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘রুশ সেনাবাহিনী আমাদের দেশের যেসব অঞ্চলে ঢুকতে পেরেছে এবং নৃশংসতা চালিয়েছে, সে একই ধরনের নৃশংসতার চিহ্ন খেরসনেও রেখে গেছে তারা। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করব। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’ ইতোমধ্যে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনে কারফিউ জারি করেছে। খেরসন থেকে বাইরে যাওয়া এবং বাইরের এলাকা থেকে খেরসনে প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর বুচা, ইজিয়াম, মারিউপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, রুশ সেনারাই এ নৃশংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।
ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে মস্কোর দখলে যাওয়া একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন। গত সেপ্টেম্বরে ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে খেরসনসহ ইউক্রেনের আরো তিনটি অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেন পুতিন। গত শুক্রবার ইউক্রেন বলেছে, তাদের সেনারা খেরসন শহর দখলমুক্ত করেছেন। শহরটি থেকে প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা সরে যাওয়ার পর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আবারো খেরসনের প্রশাসনে ফিরেছেন।
দখলমুক্ত খেরসনে জেলেনস্কি : রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর খেরসন শহর পরিদর্শন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সেনাদের সঙ্গে গতকাল সোমবার শহরটির কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান তিনি। খেরসন পুনরুদ্ধারে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো এবং মিত্রদের ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি।

খেরসন রাশিয়ার দখলদারমুক্ত হলেও সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেখানকার সেনাদের তিনি বলেন, আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, আমরা শান্তির জন্য প্রস্তুত, পুরো দেশের শান্তির জন্য।
গত ৯ নভেম্বর রুশ সেনাদের খেরসনের পশ্চিম তীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে, খেরসন সেগুলোর একটি। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী এটি। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে এই শহরটির অবস্থান।
খেরসন রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দখলকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ এটি। ক্রিমিয়ায় থাকা রাশিয়ার গোলাবারুদ, ট্যাংক এবং সেনা খেরসন হয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়