কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে পীর বাবার হাতে মেয়ে খুন : ১০ বছর পর শুরু বিচার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে কথিত পীর বাবার হাতে মেয়ে খুনের ঘটনার ১০ বছর পর বিচারকাজ শুরু করেছেন আদালত। মামলা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আসামিপক্ষের আবেদন (কোয়াশমেন্ট) খারিজ হওয়ায় কথিত পীর বাবা মতিনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচার শুরু হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দ্বিতীয় মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামের আদালতে বিচার শুরু হয়। এ দিন মেয়ে হাফসা হত্যা মামলায় বাবা পীর মতিনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন ছেলে ও মেয়েরা। ফতোয়ার অপব্যাখ্যা দিয়ে নিজের মেয়েকে দোররা মেরে হত্যা করেন কথিত ওই পীর।
আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান জানান, ২০১৯ সালে ১৪ মে উচ্চ আদালতে আসামির ফৌজদারি রিভিশন খারিজ হলে আদালত ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। মামলার এজাহার বহির্ভূত সাজানো সাক্ষী উপস্থাপন করে আসামিপক্ষ মামলা থেকে অব্যাহতি নেয়ার চেষ্টা চালায়। তবে চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর মামলার বাদী আবু দারদা জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে গতকাল সোমবার সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আদালত সূত্র জানায়, নিজের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করতে চান পাহাড়তলীর গ্রীণভিউ আবাসিক এলাকার পীর মতিনের মেয়ে হাফসা। তাই ২০০৯ সালে ১৯ আগস্ট নিজের আস্তানায় মেয়েকে দোররা মেরে হত্যা করেন। হাফসার সঙ্গে তার আরো দুই বোনকে একই অভিযোগে মাথা ন্যাড়া করে দোররা মেরে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। হাফসাকে মারার পর রাতের আঁধারে ঘরের মধ্যে জানাজা পড়ে কবরস্থানে নিয়ে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। পরে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে সরজমিন তদন্ত এবং নির্যাতিতদের আইনি সহায়তা দেয়া হয়। নির্যাতিতদের পক্ষে তার এক ভাই বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ উল্লেখ করে ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। আদালতে প্রতিবেদনের বিষয়ে মামলার বাদী নারাজি দিলে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে মামলার মূল আসামি ভণ্ডপীর মতিনসহ (৬০) ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় কথিত পীর মতিন ছাড়াও মতিনের ভাই সবুর (৪৫), স্ত্রী ডা. শাহিদা বেগম (৪০), মতিনের প্রণয়সঙ্গী নার্গিস বেগম (২০) এবং ছোট বোন বিনু বেগমকে আসামি করা হয়। পরে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। কিন্তু ওইদিন আদালতে মামলার প্রধান আসামি কথিত পীর আব্দুল মতিনের পক্ষে উচ্চ আদালতের ফৌজদারি রিভিশন ফাইল করলে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের মামলায় স্থগিতাদেশ দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়