কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

ইরানে মাশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে দাঙ্গায় প্রথম মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর জেরে ইরানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্যে ‘দাঙ্গায়’ জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তেহরানের একটি আদালত। দেশটির বিচারবিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত মিজান অনলাইনের ওয়েবসাইটে রবিবার এ রায়ের খবর এসেছে বলে ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে।
নারীদের জন্য ইরানে যে কঠোর হিজাব আইন রয়েছে, তা না মানার অভিযোগে ২২ বছর বয়সি মাশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর সেপ্টেম্বর থেকেই ইরানজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। প্রথম দিকে সেই বিক্ষোভ ছিল কঠোর হিজাবআইনের বিরুদ্ধে। পরে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ নেয়।
মিজান অনলাইন বলছে, একটি সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলার ষড়যন্ত্র এবং বেআইনি সমাবেশসহ একাধিক অভিযোগে রবিবার মৃত্যুদণ্ডের ওই রায় দেয়া হয়। তেহরানের আরেকটি আদালত আরো পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়েবসাইটটি। তাদের বিরুদ্ধেও জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলার ষড়যন্ত্র, বেআইনি সমাবেশ এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাদের সাজার মেয়াদ ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে, বলেছে মিজান অনলাইন।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড লিখেছে, দণ্ডিতরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ পাবেন বলে বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিক্ষোভকে ঘিরে যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোর কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে ইরানের প্রধান বিচারপতি মহসেনি ইজেই-র আহ্বানের কয়েকদিনের মধ্যেই এ রায়গুলো এলো।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে শত্রæপক্ষের ‘হাইব্রিড যুদ্ধের’ অংশ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন ইজেই। তার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েল ‘দাঙ্গাকারীদের উসকে দিয়েছে।’

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে কতজন মারা গেছে সে বিষয়ে ইরান সরকারের তরফ থেকে কোনো সংখ্যা জানানো না হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আড়াইশর বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর দিচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে ১৪ হাজারের মতো মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কয়েকদিন আগে ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত জাভেদ রেহমান বলেছিলেন।
আটক অনেকের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মতো অভিযোগ আনায় কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় উদ্বেগও প্রকাশ করেছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়