সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

শৃঙ্খলা ফেরার আশা : ৩০ কোম্পানির বাসে ই-টিকেট

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৩০টি কোম্পানির বাস আজ রবিবার থেকে ই-টিকেটের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় চলাচলরত সব গণপরিবহনকে ই-টিকেটের আওতায় আনা হবে।
গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা, বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার শহরতলী মিলিয়ে মোট ৯৭টি বাস কোম্পানি রয়েছে। প্রথম দফায় আমরা রবিবার মিরপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৩০টি কোম্পানির বাসে ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু করব। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকায় চলাচলকারী ৬০টি কোম্পানির বাস এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা ও ঢাকার শহরতলীর ৯৭টি কোম্পানির বাস ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আনা হবে। সব গণপরিবহন ই-টিকেটের আওতায় এলে ঢাকার নগর পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। বাসের ভেতরেই যাত্রীরা ই-টিকেট কাটতে পারবেন। এই পদ্ধতির ফলে বাস কোম্পানিগুলোর মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো বন্ধ হবে। এতে দুর্ঘটনাও ঘটবে না। ঢাকা শহর এবং শহরতলীতে মোট ৫ হাজার ৬৫০টি বাস চলাচল করে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৩ হাজার ১১৪টি এবং শহরতলীতে ২ হাজার ৩৩৬টি বাস চলাচল করে।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ পেয়ে আসছি। সব সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। মালিক, শ্রমিক, কোম্পানির নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পরই ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, রবিবার থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। পুরো বিষয়টি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আমরা একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছি। দুজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে সমন্বয়ের জন্য। সমিতির পক্ষ থেকে সড়কে মনিটরিংয়ের জন্য ৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ঘুরে ঘুরে বাসে উঠে যাত্রীদের অভিযোগ শুনবেন, কোনো সমস্যা হলে ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া সমস্যার ব্যাপারে যাত্রীরা যেন অভিযোগ করতে পারেন সেজন্য একটি হটলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৩টি নম্বরে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ করা যাবে। হটলাইন নম্বরগুলো হলো- ০১৬১৮৯৩৩৫৩১, ০১৬১৮৯৩৬১৮৫ ও ০১৮৭০১৪৬৪২২। এর পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে স্পেশাল চেকার রাখা হবে।
ই-টিকেট পদ্ধতি চালু হলে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমে যায় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে যখন এই পদ্ধতি শুরু করা হয়েছিল তখন মালিকরা ইনকাম ঠিকমতো পেত না। তাই মালিকরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে উৎসাহী ছিল না। পরবর্তীতে মালিকদের নিয়ে আলোচনার পর বাসের ভেতর ই-টিকেটিং মেশিন দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করায় এখন মালিকরা তাদের সঠিক ইনকাম পাবেন। তারপরও মালিকরা সিদ্ধান্ত কার্যকর না করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন থেকে সবাইকে অবশ্যই ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আসতে হবে। আগে গাড়িতে দুজন কর্মী থাকলেও এখন সেখানে ৩ জন কর্মীর প্রয়োজন হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়