সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

মতবিনিময় সভায় বক্তরা : পরিকল্পিত ঢাকা গড়তে প্রয়োজন নগর সরকার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাসযোগ্য ও পরিকল্পিত ঢাকা গড়ে তুলতে নগর সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ড্যাপ বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নগরবিদরা। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে ‘ঢাকা মহানগর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এ দাবি জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক ও রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, নাগরিক উন্নয়ন কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য মারুফ হোসেন, বি-স্ক্যানের কোঅর্ডিনেটর ইফতেখার মাহমুদ, পবার সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, ডিডিপির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান।
নুরুল হুদা বলেন, ড্যাপ বাস্তবায়নে একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রয়োজন। রাজউক থেকে পরিকল্পনা অনুমোদন করার পরে পরিকল্পনায় ব্যতয় ঘটে। একটি রেগুলেটরি বডির মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, একটি এলাকার নাগরিক সুবিধাকে বিবেচনায় না নিয়ে ভবনের উচ্চতা বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হলে এলাকাটি বাসযোগ্যতা হারাবে। আবাসিক এলাকায় রাস্তার প্রশস্ততা এবং জমির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে এফএআর নির্ধারণ করা হয়েছে। এফএআর প্রতি তিন বছরে এবং পুরো ড্যাপ প্রতি পাঁচ বছরে রিভিউয়ের সুযোগ আছে। উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকাভিত্তিক মনিটরিং টিম তৈরির চেষ্টা করছি। রাজউক ঢাকা শহরে একক সংস্থা হিসেবে অনেক মাঠ তৈরি করেছে। কিন্তু ব্যবস্থাপনা আমাদের কার্যপরিধির কাছে নেই। মাঠ-পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এলাকাবাসীর কাছে দেয়া প্রয়োজন। রাজউক ও সিটি করপোরেশন ওয়াচডগ হিসেবে থাকবে।
ড. আকতার মাহমুদ বলেন, শহরে জনঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে স্কুল, মাঠ-পার্কসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে একটি শহরকে ধ্বংস করা অনুচিত।
আবু নাসের খান বলেন, বর্তমান ড্যাপে অনেক আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত ধারণা দেয়া হয়েছে। ভুলত্রæটি বা বিতর্ক যাই থাকুক না কেন বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তোলার বিষয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়