সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ.লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খেলা হবে ডিসেম্বরে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বিএনপির চুরি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে জানিয়ে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ৮ বছর পর গতকাল স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান পুরস্কৃত করেছিল। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। বিচার বন্ধ করতে আইন করেছিল। শুধু তাই নয়, ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান ও ২১ আগস্টে শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান। ফরিদপুরে আমরা বিএনপির অবস্থা দেখেছি, সেখানে শুধু টাকা ওড়ে, আকাশে-বাতাসে টাকা ওড়ে। কারণ সেখানে মনোনয়ন বাণিজ্য হচ্ছে। বস্তায় বস্তায় টাকা নিচ্ছে। বিএনপি ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে সুইস ব্যাংকে জমা করেছে। অর্থ পাচারকারী তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ডিসেম্বর মাসে শেখ হাসিনার ডাকে খেলা হবে।
প্রধান বক্তা মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেন, আমাদের বর্তমান যে অর্থনৈতিক মুক্তি সেটাও হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই বাংলাদেশ ছিল চরম দরিদ্র রাষ্ট্র। চরম হতাশার রাষ্ট্র। অধঃপতিত বাংলাদেশকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে যে যাত্রা শুরু করে, আজকে সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। এখন এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত। ২০৪১ সালে আমাদের বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নতুন করে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল সেই বিএনপি-জামায়াত সক্রিয় হয়েছে। তারা বলছে, টেইক ব্যাক বাংলাদেশ। তারা বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এতিমের টাকা মেরে খালেদা বেগম মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছে। এরা খুনি সংগঠন। স্বাধীনতাবিরোধী। খুনিদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। তিনি আরো বলেন, ১/১১ সরকারের কাছে তারেক মুচলেকা দিয়ে গেছে। লন্ডন থাকে, বিরাট বড় বাসা, তার ইনকাম

কী? বাংলাদেশের টাকা লুট করে নিয়ে এখন ভালো থাকে। আমরাই তো লন্ডন সরকারকে বলেছি তাকে আমাদের কাছে দাও। কিন্তু তারা দিচ্ছে না। সে এখন এলে গণপিটুনিতে মারা যাবে। এ দেশের টাকা মানিলন্ডারিং করে পাচার করায় ৩৭ বছরের জেল হয়েছে। দেশে এলে ৩৭ বছরের জেল খাটার ব্যবস্থা করে দিব।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর ও কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন সুলতানা কল্পনা।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের নাম পুনরায় ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি মো. হেলাল, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী মন্টুর নাম ঘোষণা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়