সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যা > প্রকৃত ঘটনা এখনো বের করা যায়নি : ডিবি প্রধান

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন বিষয় চাউর হলেও প্রকৃত ঘটনা কী এখনো তা বের করা যায়নি। নিহতের বাবার মামলার প্রেক্ষিতে এক নম্বর আসামি বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদেও তেমন কোনো তথ্য মেলেনি। হত্যাকাণ্ডের জন্য সে-ই দায়ী এমনটিও এখন পর্যন্ত মনে করছে না ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা।
গতকাল শনিবার ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যার বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ফারদিনের মোবাইল ফোনের ডাটা এনালাইসিস ও বিভিন্ন জায়গায় যার যার সঙ্গে সে কথা বলেছে- সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে ঢাকা শহরের কোনো এক জায়গায় খুন হতে পারে এ শিক্ষার্থী। ঢাকা শহরে ফারদিন যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন আমরা বিভিন্ন প্রযুুক্তিগত মাধ্যম ব্যবহার করে সেসব স্থান খুঁজে বের করেছি। কংক্রিট কোনো তথ্য বের করতে পারিনি বলে এখনই প্রকৃত ঘটনা কী- তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমাদের কাজ চলছে। ডিবির টিম রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে।
এ খুনের নেপথ্যে মাদকসংক্রান্ত কোনো বিষয় আছে কিনা- জানতে চাইলে ডিবির প্রধান বলেন, আমরা একথা এখনই বলছি না যে, মাদকের কারণে খুন হয়েছে। আমরা পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করছি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে ফারদিন মাদকাসক্ত ছিলেন। এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছে আছে কিনা- জানতে চাইলে হারুন বলেন, ডিবির পক্ষ থেকে আমরা কখনোই বলিনি ফারদিন চনপাড়া গিয়ে মাদকের কারণে মারা গেছে। আমাদের টিম সবগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করছে। ডেমরার চনপাড়া বস্তিতে ডিবির অভিযান চলছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলন, তদন্তের স্বার্থে শুধু চনপাড়া বস্তি কেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ গিয়েছি। ডেমরা ও খিলগাঁওসহ সব জায়গায় ডিবির টিম কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৭ নভেম্বর বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে রামপুরায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় নামিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শেখ ফরহাদ বলেছিলেন, ময়নাতদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি, তার মাথায় এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে সেই আঘাত কোনো ধারাল অস্ত্রের নয়। আঘাতের চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি হত্যাকাণ্ড। পুলিশের চাহিদা ও অধিকতর তথ্যের জন্য তথ্য-উপাত্ত ও আলামত মহাখালী ভিসিআরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পেলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর রাতে ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা আমাতুল্লাহ বুশরাকে এজাহারনামীয় ও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, বুশরার ইন্ধনে পরশকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া পরশ নিখোঁজ হওয়ার দিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বুশরার সঙ্গে ছিল। এরপর ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া আদালত মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়