সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

পরাশক্তিরা মিলছে এশিয়ায় : পক্ষ নিতে চাপ বাড়ছে অন্যদের ওপর

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হতে যাওয়া একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথমটিতে যোগ দিতে বিশ্ব নেতারা এখন ছুটছেন কম্বোডিয়ার নম পেনে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা তাদের প্রথম যাত্রাবিরতি নেবেন, দেখা করবেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে। এরপর ইন্দোনেশিয়ার বালি আর ব্যাংককে জি২০ ও এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপিইসি) ফোরামের সম্মেলন। তবে এসব আলোচনায় পরাশক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ ও সংঘাত ছায়া ফেলতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কাও করছেন। সিএনএন
২০২০ সালে কোভিড মহামারি শুরুর পর এবারই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ এ ৩টি সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা সশরীরে অংশ নিতে যাচ্ছেন। কোভিড মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তে থাকা খাদ্যের দাম ও বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি

এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমন্বয় জোরদার করা সম্ভব কিনা, এসব সম্মেলনে অংশ নেয়া বিপুল পরিমাণ কূটনীতিকের জন্য এর একটা পরীক্ষাও হয়ে যাবে।
গত কয়েক দশকের রাজনৈতিক ক্যালেন্ডারে বিশ্ব এখনকার মতো ভূরাজনৈতিক তীব্র ভেদাভেদ আর দেখেনি। ইউক্রেনে যুদ্ধ রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্কে নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে। শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাজার দখলে প্রতিদ্ব›িদ্বতা তীব্র হয়ে উঠেছে। এসবের মধ্যে বাকি বিশ্বের ওপর চাপ বাড়ছে- পক্ষ বেছে নেয়ার।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এ সম্মেলনগুলোর কোনোটিতে অংশ নেবেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হওয়া এ সম্মেলনগুলোর অন্তত দুটিতে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
মহামারির মধ্যে বছর দুয়েকের বেশি দেশের বাইরে বের না হওয়া শি এখন ফের বিভিন্ন দেশে সফরে যাচ্ছেন, এর মধ্যে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাও নিশ্চিত করে ফেলেছেন তিনি। এদিকে বাইডেনও প্রাচ্যে যাচ্ছেন ফুরফুরে মেজাজে, তার দল মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে।
দুই নেতাই সম্মেলনগুলোতে নিজ নিজ দেশকে শক্তিশালী অংশীদার এবং বিশ্ব মঞ্চে অন্যের তুলনায় বেশি দায়িত্বশীল হিসেবে হাজির করতে চাইবেন। জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে তারা মুখোমুখি বৈঠকেও বসবেন বলে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানায়। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শি-র সঙ্গে এটিই তার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার বেইজিংও শি যে জি২০ ও এপিইসি সম্মেলনে যাচ্ছেন তা নিশ্চিত করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং একাধিক বিশ্ব নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছে তারা। শি-বাইডেন বৈঠক দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনার আরো বৃদ্ধি রোধে ভূমিকা রাখলেও কয়েকদিনের মধ্যে হতে যাওয়া সম্মেলনগুলোতে বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এই সম্মেলনগুলোতে, এমনকি এর মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি আঞ্চলিক আসিয়ান সম্মেলনেও বিশ্ব রাজনীতির বিভক্তির প্রতিফলনই দেখা যাবে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। তবে অন্য দুই সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব যতটা গুরুত্ব পাবে, আসিয়ানে হয়তো তেমনটা পাবে না; জোটের এক সদস্য রাষ্ট্রের ভেতরে ক্রমবর্ধমান সংঘাতই তাদের ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের দুই বছর পরও মিয়ানমারের টালমাটাল অবস্থা কাটেনি। সেখানকার সংঘাত মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যকার বিভক্তি, একেক পরাশক্তির সঙ্গে জোটের একেক সদস্যের আলাদা ধরনের সম্পর্ক এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে কোনো একটি পক্ষ বেছে নিতে জোটের অনাগ্রহ- এই সব কিছুই এবারের সম্মেলনে জোটটি কী অর্জন করতে পারবে এবং কোন কোন বিষয়ে কতখানি সম্মত হতে পারবে এর ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়