সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

নির্বাচন নেই ৪ বছর : চবির হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির মেয়াদ শেষ > নির্বাচন চান দুই শতাধিক শিক্ষক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়’ উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল। প্রতি দু’বছর পর পর সংগঠনটির স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৭ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি।
সাধারণ শিক্ষকরা জানিয়েছেন, কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে। মেয়াদোত্তীর্ণের চার বছর পার হলেও স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন বা পুনর্গঠন নিয়ে দায়িত্বশীলদের কোনো সাড়া শব্দ নেই। নিজেদের নেতৃত্ব ধরে রাখতেই তাদের এই কৌশল বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি চবি হলুদ দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সদস্যদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন চান না হলুদ দলের সমর্থক শিক্ষকরা। এই অবস্থায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে সক্রিয় করতে এর স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচনের জন্য ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন হলুদ দলের ২০১ জন শিক্ষক।
চিঠিতে বলা হয়, হলুদ দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি’র সর্বশেষ নির্বাচন ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠিত হয় দুই বছরের জন্য। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। চার বছর পার হতে চললেও নতুন করে নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। চিঠিতে শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, ২০১৭ সালে নির্বাচিত ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন সদস্যই নিষ্ক্রিয়। স্বাভাবিক অবসর, লিয়েন, শিক্ষা ছুটিসহ নানা কারণে তারা দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে স্ট্যান্ডিং কমিটি অকার্যকর হয়ে আছে। একদিকে এই কমিটি অপূর্ণাঙ্গ অন্যদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ। এদিকে, এই অবস্থার প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ অন্যান্য পর্ষদের নির্বাচনগুলোতে। তাই দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান তারা।
হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, একটি চিঠি আমি পেয়েছি। এই দরখাস্ত যাচাই-বাছাই করা হবে। নির্বাচন দেয়ার ব্যাপারে আমাদেরও চিন্তাভাবনা রয়েছে। তবে চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ২০১ জনের কয়েকজন আমাদের সংগঠনের নয়। পরবর্তীতে কমিটির সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
চিঠিতে স্বাক্ষর করা ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, ২ বছরের কমিটি ৫-৬ বছর ধরে চলছে। নতুন অনেক শিক্ষক এসেছেন। তাদের সাথেও এই কমিটির সমন্বয় নেই। তাছাড়া এই কমিটির ৬ জনই এখন দায়িত্ব পালন করেন না। সামনে অনেকগুলো পর্ষদের নির্বাচন হবে। মেয়াদহীন স্ট্যান্ডিং কমিটি যদি সেখানেও খামখেয়ালিভাবে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়