সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

দল ও কর্মীদের মধ্যে সহমর্মিতা দরকার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষে যুবলীগের কর্মীসহ আওয়ামী লীগের মধ্যেও আমরা একটা চাঙ্গা ভাব দেখলাম। আসছে ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন এবং ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এসব আনুষ্ঠানিকতা কর্মীদের মধ্যে কেবল স্বতঃস্ফূর্ততাই সৃষ্টি করবে তা নয়, দলের কর্মীসংখ্যারও বৃদ্ধি ঘটাবে। গ্রিক পণ্ডিত অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, ‘যত বড় বই তত বড় জঞ্জাল’! আওয়ামী লীগ বিরাট এক রাজনৈতিক দল। এর মধ্যেও নানা রকমের অনৈক্য, বিভেদ ও নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে, এটাই স্বাভাবিক। প্রতিযোগিতা সুস্থ হলেই গণতন্ত্রের জয় আর অসুস্থ প্রতিযোগিতা মানেই বিপত্তি। বিপত্তি কেবল দলেরই নয়, বিপত্তি জাতিরও। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে দলে সৃষ্ট অনৈক্য ও বিভেদ নানা সময়েই স্পষ্ট হয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অনৈক্য ও বিভেদকে দূর করে দলের ভেতর মজবুত সংহতি সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপিও নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে মাঠে নেমেছে। কয়েকটি বিভাগে সমাবেশের পর তারাও আত্মবিশ্বাসী হয়েছে বলে আপাত মনে হচ্ছে। আর যেহেতু সরকার পতনের ডাকই তাদের মুখ্য, তাই তাদের মতে বর্তমানে অনৈক্য তেমন একটা নেই। বিএনপির চূড়ান্ত লক্ষ্য ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশের দিকে। এ কেবল সমাবেশই নয়- তাদের ভাষায় ঢাকাকে সমগ্র দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘প্রকল্প’। ঢাকার ক্ষমতা গ্রহণ- রাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণ! তাদের সদম্ভ ঘোষণা : ‘১০ ডিসেম্বরের পরে দেশ চলবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে, তারেক জিয়ার নির্দেশে’! নির্বাচন ছাড়াই বিএনপি দেশ চালাবে এ কেমন কথা! বোঝাই যাচ্ছে গণতন্ত্রের প্রতি দলটির শ্রদ্ধা, গণতন্ত্র চর্চার প্রতি দলটির অভিনিবেশ! সেনাছাউনিতে জন্ম নেয়া বিএনপির গণতান্ত্রিক চেতনা কতটা মননশীল তাও বোঝা গেল! সাম্প্রতিককালে যে গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির ‘আদাজল খাওয়া’ আন্দোলন, তা বিএনপিই মানতে চাইছে না! যেনতেনভাবে ক্ষমতাই দখল করতে চাইছে তারা! অন্তত সাধারণ মানুষ তাই মনে করছেন।
আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অনেকে আওয়ামী লীগেও যুক্ত হবেন। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের একটি। দলটির নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীন দেশে দলটি মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিল। ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডির ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতাসীন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এই ২১ বছরে শাসকগোষ্ঠী এদেশের ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে। বিশেষত ধর্মনিরপেক্ষতার স্থলে সাম্প্রদায়িক চেতনাকে বলিষ্ঠ রূপ দেয়া হয়েছে! সামরিক শাসকরা সরলমতি জনগণকে বুঝিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ‘ধর্মহীনতা’! শুধু তাই নয়- স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তির মধ্যকার ব্যবধান ঘুচিয়ে ফেলে মুক্তিযুদ্ধকে ‘অতীতের বিষয়’ বলে ‘অতীত’ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করতেও জনগণকে বাধ্য করেছে। তারা ‘রাজাকার’ ও ‘মুক্তিযোদ্ধা’র মধ্যকার পার্থক্যও ঘুচিয়ে ফেলে। কুখ্যাত রাজাকাররা এদেশে মন্ত্রিত্ব লাভ করেছে! তাদের ইশারা-ইঙ্গিতেই চলেছে দেশের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল- নিষিদ্ধ ছিল ‘জয় বাংলা’ সেøাগানও। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য কত মানুষকে কারাবরণ করতে হয়েছে তারও হিসাব নেই! এসবও ইতিহাস, এসবও অতীত। কিন্তু ‘অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করার’ রাষ্ট্রীয় নির্দেশের খড়গ ছিল সাধারণের মাথার ওপর।
কিন্তু রাজনৈতিক সক্রিয় কর্মীর মতোই ইতিহাসনিষ্ঠ একটি তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিকাশ ঘটে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যা ছিল ভীতিকর ও কল্পনাতীত বিষয়। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ের অনেক উঠতি-যুবকের মধ্যে বিকৃত ইতিহাস এতটাই দানা বেঁধেছিল যে, তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের চেয়ে বানিয়ে তোলা ইতিহাসকেই পছন্দ করতেন। তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে দেশপ্রেম এবং ইতিহাসনিষ্ঠা মুছে দিতে মেজর জিয়া ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ তত্ত্ব এবং ভোগবাদিতার জন্য অফুরন্ত নগদ অর্থ প্রদান করেন। সেই অর্থে সৃষ্ট একটি বিকলাঙ্গ প্রজন্ম ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মহান স্বাধীনতার পর্যায়ক্রমিক ইতিহাস ভুলে এক উল্লম্ফ-বিশ্বাসে মগ্ন হয়। এই বিকলাঙ্গরা মনে করে, জিয়াউর রহমানসৃষ্ট ৭ নভেম্বরের তথাকথিত ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ থেকেই বাংলাদেশের জন্ম! বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রাম বলে কিছু নেই! ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালির কোনো সংগ্রাম নেই, বাঙালির কোনো আত্মত্যাগও যেন নেই! এই উল্লম্ফ-বুদ্ধিজাত প্রজন্মের কাছে ৭ নভেম্বরের আগে বাঙালির কোনো ইতিহাস ছিল না, ছিল না কোনো ভূগোলও! নিজ নিজ স্বার্থে এরা ‘বাকশাল’কে নেতিবাচক ব্যাখ্যায় তুলে ধরে। তৎকালের বেশিরভাগ অর্ধ ও অশিক্ষিত মানুষের মনোজগতকে বাকশালের বিরুদ্ধে দাঁড় করায় তারা। কিন্তু শিক্ষিত প্রজন্মের কাছে বাকশাল গঠনের ইতিবাচক ও উজ্জ্বল দিক মূর্ত হয়ে ওঠে। তাই আওয়ামী লীগের ভেতর এখন ইতিহাসের যে কোনো সময়ের চেয়ে নেতাকর্মী যেমন বেশি, তেমনি বেশি তাত্ত্বিক বুদ্ধিজীবীর সংখ্যাও। টানা তৃতীয় মেয়াদের আওয়ামী শাসনামলে আমরা দেখছি, ‘নিবন্ধিত’ না হলেও সক্রিয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি ইতিহাস-অনুরাগী বুদ্ধিজীবীর সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে দলটিতে। তা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের ভেতর সংকটও কম নেই। এই সংকট বিভিন্ন সারির নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডে দৃশ্যমান। অভ্যন্তরীণ কোন্দল, চেইন অব কমান্ড অস্বীকারের প্রবণতা, নেতৃত্বের দাপট প্রকাশের বাড়াবাড়ি ইত্যাদি কত কী! এসব সংকটদৃষ্টে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সাধারণের মনেও শঙ্কা ঘনীভূত হয়। এ মাসেও বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের সমাবেশ বা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে একাধিক গ্রুপের যুদ্ধংদেহী মনোভাব! একদা স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দেখা গিয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি! বিগত প্রায় ১৪-১৫ বছরে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংহতি ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা, তা এক বিরাট প্রশ্ন। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সুবাদে উচ্চপদের নেতা ও তাদের অনুগতরা লাভবান হয়েছেন। ১৪ বছরে বড় বড় নেতাদের অনেকেই আরো বড় হয়েছেন, স্ফীত হয়েছেন বহুগুণে। এ কথা সবাই কমবেশি স্বীকার করেন। কিন্তু এসব স্ফীতোদর নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড আগামী নির্বাচনে সাধারণের ভোট আওয়ামী লীগের পক্ষে আনায় কতটা সহায় হবে, তা নিয়েও আমাদের মনে শঙ্কার অভাব নেই!
নির্বাচনের আগে সরকার যেমন তার সাফল্যের ফিরিস্তি নিয়ে জনসম্মুখে হাজির হবে, তেমনি মহলবিশেষ থেকেও শুরু হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র! আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলা করে সেই ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে’ও ব্যতিব্যস্ত হবেন কেউ কেউ। অনেক রাজনৈতিক দল মরিয়া হয়ে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা প্রমাণে আগেকার বিভিন্ন ইস্যুর মতো ‘লবিস্ট’ও নিয়োগ করবে! কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বে সরকারকেও সতর্কতার পারাকাষ্ঠা প্রমাণে সচেষ্ট ও সক্রিয় হতে হবে। বৈশ্বিক নানামুখী সংকটে বাংলাদেশও জর্জরিত- দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভবই হচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সক্ষমতা দেখানো উচিত। অনেক সমস্যা সমাধানে শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকলেও মাঠ-পর্যায়ের প্রশাসন এমনকি দলের নেতাকর্মীরা তা বাস্তবায়নে দোদুল্যমানতার পরিচয় দিয়ে থাকে। এতে সাধারণ মানুষ যেমন ভোগান্তির শিকার হয়, তেমনি তাদের ভেতর সরকারবিরোধী মনোভাবও তীব্র হয়ে ওঠে। আসন্ন নির্বাচনে সাধারণের এই মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটার আশঙ্কাও অমূলক নয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এসব বার্তা কতটুকু পান তাও আমরা জানি না। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের শেষ অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে দলের সাংগঠনিক সক্রিয়তা বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিনক্ষণও ঠিক। আওয়ামী লীগকে মনে রাখতে হবে দীর্ঘদিন তারা ক্ষমতায় আছে আর বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে। তাই আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে মরণকামড় আসবেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে যে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে তা মোকাবিলার প্রস্তুতি আওয়ামী লীগকে গ্রহণ করতে হবে। ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের ভুলের পুনরাবৃত্তির পথে বিএনপি আর হাঁটবে না। সুতরাং ‘এবার আওয়ামী লীগকে খালি মাঠে গোল করার সুযোগ বিএনপির পক্ষ থেকে আর দেয়া হবে না’- তাদের এরূপ বক্তব্যের গণতান্ত্রিক জবাব আওয়ামী লীগকেই দিতে হবে।
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছে বলেই ধরে নেয়া যাবে না যে, আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত আছে। দলের ভেতর সংকট নেই, দল পরিপাটি আছে এরূপ ভাবলে আসন্ন নির্বাচনে তার ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে। কাদম্বিনীর মতো ‘মরিয়াই প্রমাণ করিতে হইবে যে, সে মরিয়া গিয়াছে’! কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সাফল্যের দিকে তাকিয়ে আছে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার পক্ষের অগণিত সাধারণ মানুষ। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাসী ও প্রত্যাশীদের কথা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাবতে হবে। দলে কেবল সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না, দলের ভেতর সংহতিও বাড়াতে হবে। শুধু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দই নয়- দলের সাধারণ নেতাকর্মীদেরও মনে রাখতে হবে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় গৃহীত প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রæতি নিয়েই সাধারণের কাছে পৌঁছাতে হবে। সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ দেশপ্রেমিকের বিকল্প নেই- আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এ কথাই মনে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে সদস্য বৃদ্ধির পাশাপাশি দলে সবার মধ্যে সংহতি এবং সহমর্মিতাও বাড়াতে হবে। এসব মনে রেখেই দলের ২২তম সম্মেলন করতে হবে, এসব মনে রেখেই আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণের কাছে ভোট চাওয়ারও।

আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়