সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

কপ২৭-এ বাইডেন : নেতৃত্ব দিতে আবারো প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্ব নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শুক্রবার মিসরের অবকাশ যাপন কেন্দ্র শারম আল-শেখে চলমান জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭-এ দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে প্যারিস চুক্তিতে আবারো যোগ দিয়েছি। এর মধ্যে আমরা শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলন আহ্বান করেছি এবং নিজেদের অবস্থান পুনর্প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী- আমরা নিজেদের চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম বলে।’ তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে আবারো প্রস্তুত হচ্ছে।
দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হিসেবে কয়েক দশক ধরে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণকে দায়ী করে আসছেন পরিবেশবিদরা। বর্তমানে মিথেনের ব্যবহারের ব্যাপারেও আলাদা নজর দেয়া হচ্ছে, যা কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও দ্রুত গতিতে বায়ুমণ্ডলকে উষ্ণ করে তুলছে। এ অবস্থায় কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো।
বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
বাইডেন বলেন, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র বন্যা ও খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে। তবে মার্কিন প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে কার্বন নিঃসরণ যতটা কমানো দরকার, যুক্তরাষ্ট্র তা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হলে সময়ের আগেই এ লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন। এ সময়, ২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তীব্র সমালোচনা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সংকট মানুষের জীবন, অর্থনীতি, পরিবেশ ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে সবার জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সংকট কাটাতে চলতি বছরও আগের বছরগুলোর তুলনায় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছি আমরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০১৬ সালের প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তবে ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরই বাইডেনের সেই কাজকে উল্টে দেন। তিনি ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারো চুক্তিতে ফিরে যাবে। ২০১৬ সালের প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসারণের হার কমানোর লক্ষ্যে স্বাক্ষর করা হয়েছিল।
এর আগে, ২০১৬ সালের কপ-২৬ সম্মেলনে বাইডেন বলেছিলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই আমার প্রশাসন জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, দেশে এবং সারা বিশ্বে জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সাহসী এজেন্ডা নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি যে ভালো জলবায়ু নীতি হলো ভালো অর্থনৈতিক নীতি। জলবায়ু নীতিতে মার্কিন বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্র ও সমগ্র বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন সাধন করবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়