সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে ভেড়ামারার পদ্মাপাড়ে ভাঙন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) থেকে : ভেড়ামারায় পদ্মা নদী থেকে নিয়ম না মেনে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। ভাঙন রোধে সেখানে ছোট জিও ব্যাগ ফেলানো হয়। তারপরও পদ্মার পাড় ভাঙা থামেনি। এখানে প্রয়োজন বড় বড় বালুভর্তি জিও ব্যাগ।
ইতোমধ্যে ভাঙনের মুখে উপজেলার বারো মাইল টিকটিকি পাড়ার সামনে প্রায় কয়েকশ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন হুমকির মুখে টিকটিকি পাড়ার তিন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবারের বসতবাড়ি।
ভেড়ামারা পদ্মা ভাঙন থেকে বাহিরচর ইউনিয়নের বার মাইল, টিকটিকি পাড়া, মুন্সিপাড়া পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে তিন গ্রামের বাড়িঘর হুমকির মুখে। ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাজারো নারী-পুরুষ পদ্মা নদীর পাড়ে প্রতিকার চেয়ে মাঝে মধ্যে করছেন মানববন্ধন।
অবিলম্বে টিকটিকি পাড়া, মুন্সিপাড়া এলাকার মানুষ পদ্মা নদীর ভাঙনের টেকসই সমাধান চান। দ্রুত পদক্ষেপ, নদীভাঙন রক্ষা করা না হলে কয়েক হাজার পরিবার বাস্তুভিটা হারা হয়ে যাবে। জনস্বার্থে এলাকার সংসদ সদস্যসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
কৃষক শহিদুল, হাবিব, আবু বক্কার, হান্নান, মজিবর, শুকটা বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের প্রায় ৫শ পরিবারের প্রায় ১ হাজার ৪শ বিঘা জমি ভাঙনে নদীর বুকে চলে গেছে। জমির ধান, কলা, পেঁয়াজ, রসুন, করলা, সবজিসহ ফসলি জমি নদীতে ভেঙে গেছে।
জাসদ নেতা আবু হাসান জানান, ছয়-সাত বছর ধরে এ এলাকা নদীভাঙনের শিকার হচ্ছে। প্রতিবছরই নদীতে চলে যাচ্ছে ফসলি জমি। তবুও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। ইউপি সদস্য ফারুক বলেন, ভাঙনের বিষয়টি অত্র এলাকার সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যান এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
ভেড়ামারা বাহিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন আরা সিদ্দীক বলেন, গত বছর নদীভাঙনের সময় থেকেই আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছিলাম। সেই সময় তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। এবারো আমরা তাদের জানিয়েছি তারা আশ্বাস দিয়েছে। নদীভাঙনের ফলে সাধারণ জনগণ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ফোনে জানান, ভাঙন রোধে সম্প্রতি সেখানে জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। তারপরও ভাঙন অব্যাহত আছে। এখানে আরো বড় বড় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়